ফরিদপুরে কবি আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উদ্‌যাপিত

বহুমাত্রিক সাহিত্যিক ও মানবিক গুণে সমৃদ্ধ কবি আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় শহরের টেপাখোলা কোহিনুর পাবলিক লাইব্রেরিতে এ আয়োজন করে ‘কবি আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন’। সহযোগিতা করে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সামাদ।

আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এবিএম সাত্তার, প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সভাপতি ডা. আব্দুল জলিল, সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মফিজ ইমাম মিলন, খেলাঘর ফরিদপুরের সভাপতি আলতাফ হোসেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সাইফুল হাসান মিলন, এফ.ডি.-এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, ফরিদপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম স্ট্যালিন, লোকসাহিত্য গবেষক খলিলুল্লাহ দিল দরাজ, খেয়া সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি ম নিজাম, কবি মাহফুজ খান বাদল, কবি জেবা তাবাসসুম নেহা এবং সাংবাদিক বিজয় পোদ্দার প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, “কবি আব্দুল লতিফ ভূঁইয়া ছিলেন একাধারে সাহিত্যিক, গবেষক, সংগঠক ও মানবহিতৈষী। তাঁর সৃষ্টিশীলতা ফরিদপুরের সাহিত্যাঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছে। তিনি শুধু একজন সাহিত্যিক নন, ছিলেন একজন মহান মানুষ, যিনি সাদামনের নিঃস্বার্থ পরিচয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সবসময়।”

আলোচনায় আরও বলা হয়, “তাঁর প্রকাশনায় উঠে এসেছে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও লোকজ জীবনের বিচিত্র রূপ। অসংখ্য নবীন কবি-সাহিত্যিক তাঁর হাত ধরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।”

আলোচনার পর মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মরহুমের পুত্র অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব পিয়ালসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।