জামায়াতে যোগদান করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্মানিত আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সাবেক জিএস আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকাল ৪.০০টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ যোগদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে আমীরে জামায়াতের উপস্থিতিতে আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দলের অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।
তিনি ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ, দেশের স্বার্থ এবং স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশিষ্ট জীবন অতিবাহিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিয়ম-নীতি, আদর্শ, দলীয় শৃঙ্খলা ও আনুগত্যের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকার অঙ্গীকার করেন।
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান তাঁকে আন্তরিকভাবে আলিঙ্গন করেন এবং তাঁর দীর্ঘ নেক হায়াত কামনা করেন।
যোগদান অনুষ্ঠানে কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মো. রমজান আলী, ভৈরব উপজেলা আমীর মাওলানা কবির হোসেন এবং পৌরসভা আমীর শাহজাহান সরকার উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধাই নন—তিনি একজন প্রজ্ঞাবান শিক্ষানুরাগী, সমাজগঠনের অক্লান্ত কর্মী এবং ভৈরবের উন্নয়নের এক অপরিহার্য নাম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ এবং নানামুখী জনকল্যাণমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন, তা নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার আলোকস্তম্ভ হয়ে থাকবে।
ষাটের দশকে ছাত্র আন্দোলনের কর্মী, হাজী আসমত কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা, ডাকসুর নির্বাচিত নাট্য ও প্রমোদ সম্পাদক—এই দীর্ঘ রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক যাত্রার পর তিনি ’৭১ সালে বীর যোদ্ধা হিসেবে কুলিয়ারচর–ভৈরব–কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে সরাসরি অপারেশনে অংশ নেন।
স্বাধীনতার পর তিনি নিজেকে নিবেদিত করেন শিক্ষা ও সমাজকল্যাণে। ফাতেমা রমজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ আরবুর রহমান কিন্ডারগার্টেন, মুর্শিদ–মুজিব উচ্চ বিদ্যালয়, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজ এবং হালিমা সাদিয়া মহিলা মাদ্রাসাসহ বহু প্রতিষ্ঠানের পেছনে রয়েছে তাঁর ত্যাগ ও দূরদর্শিতা।
What's Your Reaction?
মোঃ রহমাতুল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকাঃ