আল্লামা সাঈদী হত্যার বিচার ভোটের মাধ্যমে হবে — মাসুদ সাঈদী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী, শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী (রহ.) এর সুযোগ্য পুত্র ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেছেন, “আমার পিতা শহীদ আল্লামা সাঈদীকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার বিনা অপরাধে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ ১৩ বছর কারাগারে বন্দি রেখে বিনা চিকিৎসায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। আল্লামা সাঈদীর হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে— সেটা ইসলামের বিজয় ও দাঁড়িপাল্লায় ভোটের মাধ্যমে।”
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী পিরোজপুরের ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে গণসংযোগ, মতবিনিময় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, “আমার পিতা ১৯৯৬-২০০১ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সরকার তার অনুকূলে না থাকায় তেমন উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেননি। তবে ২০০১-২০০৬ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি পিরোজপুর, নাজিরপুর ও জিয়ানগর উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। ইন্দুরকানীকে পূর্ণাঙ্গ উপজেলায় রূপান্তর, সেতু, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তা নির্মাণসহ হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন করেছেন। অথচ এক টাকাও দুর্নীতি বা অনিয়ম করেননি। সৎ ও আদর্শবান রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমি নিজেও দীর্ঘ পাঁচ বছর সফলভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছি। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কখনো দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি বা ব্যক্তিগত লাভের চিন্তা করিনি। যদি দুর্নীতিতে জড়াতাম, তাহলে হাসিনার মন্ত্রী-এমপিদের মতো জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারতাম না।”
এ সময় এলাকার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইন্দুরকানী উপজেলাকে সব সময় উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অনেক রাস্তা এখনও কাঁচা অবস্থায় রয়েছে। কিছু কাজ হলেও তা নিম্নমানের এবং প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “আপনারা দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে আমাকে এমপি নির্বাচিত করলে আমি আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করব এবং আমার পিতার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করব, ইনশাআল্লাহ।”
গণসংযোগ ও মতবিনিময় কর্মসূচিতে জামায়াতে ইসলামী জিয়ানগর উপজেলা সেক্রেটারি মো. তৌহিদুর রহমান রাতুল, চন্ডিপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা সরোয়ার হোসেন মোল্লা, উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মো. আশরাফুল ইসলাম, সেক্রেটারি কে. এম. রাহাতুল ইসলামসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?






