ভূমিকম্পে ঘোড়াশাল রেলসেতুর দুই পিলারে ফাটল
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় টানা দুইদিন ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার ঘটনায় প্রাণহানি ও স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ঘোড়াশালের পুরাতন রেলসেতুর দুটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে ট্রেনযাত্রী ও স্থানীয়দের মাঝে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। এতে পলাশ উপজেলায় দুইজনের মৃত্যুসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবনের দেয়াল ও মাটিতে ফাটল ধরে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর মধ্যে বৃটিশ আমলে নির্মিত ঘোড়াশাল রেলসেতুও রয়েছে। সেতুর দুই ও তিন নম্বর পিলারে গুরুতর ফাটল দেখা গেছে।
দ্বিতীয় দিনের ভূমিকম্পের পর শনিবার (২২ নভেম্বর) রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও পলাশ উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি পরিদর্শন করেন।
ঘোড়াশালের ট্রেনযাত্রী তারেক মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, “পরপর দুইদিন ভূমিকম্প হয়েছে। প্রথম দিনেই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেতুর পিলারে ফাটল দেখে আমরা ভয়ে আছি। এই সেতুর ওপর দিয়ে অন্তত ১৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করে।”
স্থানীয় বাসিন্দা আনিছুর রহমান জানান, “প্রথম দিন ভূমিকম্পেই পিলারে ফাটল ধরে। রেলওয়ের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”
ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ স্টেশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো স্টেশন মাস্টার নেই। বুকিং সহকারী আব্দুল খালেককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। পাশের জিনারদী রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার বরকত হোসেন জানান, পুরাতন সেতুর পিলারে ফাটলের খবর তারা পেয়েছেন এবং বিষয়টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে সেতুটি পরিদর্শন করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্মকর্তারাও পরিদর্শন করেছেন। সেতুর দুই ও তিন নম্বর পিলারে ফাটল নিশ্চিতভাবে রয়েছে।”
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত রেলসেতুর ঝুঁকি নিয়ে স্থানীয়দের উদ্বেগ বাড়ছে। দ্রুত মেরামত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
What's Your Reaction?
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ