আব্দুল্লাপুর-বেতকা-তালতলা-সুবচনী বালিগাওঁ ডহরী নৌপথটি সচলের দাবি

সোহাগ চোকদার,মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
Mar 25, 2024 - 11:16
 0  8
আব্দুল্লাপুর-বেতকা-তালতলা-সুবচনী বালিগাওঁ ডহরী নৌপথটি সচলের দাবি

মুন্সীগঞ্জ জেলাবাসীর প্রধান এবং প্রাচীনতম নৌপথটি প্রায় তিন দশক ধরে তার যৌবন হারিয়ে গেছে। 

নৌপথটির অন্তর্গত বক্তাবলী, আব্দুল্লাপুর, বেতকা, তালতলা লঞ্চঘাটগুলোর লঞ্চ ঘাটের জেটি বহু বছর আগেই সরকার তুলে নিয়েছে। তবুও ঘাটগুলোতে জেটি বাঁধার পিলার ও জেটিতে ওঠা নামার সিঁড়ির লোহার খাঁচাগুলো কালের সাক্ষী হয়ে এখনো ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে। 

সরেজমিনে গিয়ে কাঠপট্টি থেকে আব্দুল্লাপুর-বেতকা-তালতলা সুবচনী-বালিগাওঁ পরিদর্শন করে তেমটাই পরিলক্ষিত হয়েছে।

 তিন দশক আগ থেকে পূর্ববর্তী শত শত বছরের পুরনো ইতিহাস বলে-এই নৌপথটি মুন্সীগঞ্জ সদর, টংগীবাড়ী, সিরাজদিখান উপজেলাবাসীদের প্রধানতম যাতায়াতের পথ ছিলো। 

শুধু তাই নয় এই নৌপথে সদরঘাট থেকে বুড়িগঙ্গা হয়ে কাঠপট্টি থেকে সোজা পশ্চিমে ইছামতীর তীরের আব্দুল্লাপুর বেতকা হয়ে ধলেশ্বরীর তালতলা সুবচনী বালিগাওঁ ডহরী দিয়ে  পদ্মার ওপারের মাদারীপুরসহ অন্যান্য অঞ্চলের বড়ো বড়ো লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করতো। 
প্রতিদিন অগণিত বড় বড় দাঁড় টানা পালতোলা মালবাহী সাম্পান নৌকা চলাচল করেছে এই নৌপথে। 

এক সময় এই নৌপথটি অগণিত খেয়া নৌকা, ডিঙি নৌকা, পালতোলা নৌকা, ঢাকা- ডহরী লাইনের লঞ্চ চলাচলে মুখরিত ছিলো। 

মুন্সীগঞ্জ জেলাবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থার মেরুদন্ড ছিলো বুড়িগঙ্গা ধলেশ্বরী ইছামতী বিদৌত এই নৌপথটি। বিগত তিন দশকে ইছামতী চর জেগে ও দখলের কারণে সংকোচিত হয়ে একটি খালে পরিণত হয়েছে।

মাটি খেকো, ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে ইছামতী হারিয়েছে তার রূপ যৌবন। 
ইছামতীর আব্দুল্লাপুর তীরবর্তী সলিমাবাদ ভাঙণের কবলে বহু বছর ধরেই। ভাঙণে নদী পাড়ের রাস্তা সহ অনেকের বসতবাড়ির জায়গা জমিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

অন্যদিকে জেগে উঠা চরে কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ করছে। আবার এক শ্রেণির লোক ইছামতী নদী পাড়ের জেগে উঠা চরের মাটি মসজিদ মাদ্রাসা সরকারি রাস্তায় দেয়ার নাম করে বিক্রি করে দিচ্ছে। 
বেতকা লঞ্চঘাটের আশপাশের ইছামতী নদীর তীরবর্তী জেগে উঠা জায়গায় বাঁশের বিশাল হাট জমে উঠেছে। 
ইছামতীর উত্তরের জেগে উঠা চর এখন চাষাবাদের জমি। কাঠপট্টি লঞ্চঘাটের পশ্চিমে নদীর অনেক জায়গা জমি বেদখল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। 
মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা ইছামতী নদী দখলমুক্ত পূর্বক খনন করে, নদীর উভয়পাড়ে বাঁধ ও সড়কপথ নির্মাণ সহ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রধান ও প্রাচীনতম নৌপথটি সচলের দাবি জানিয়েছেন।
নৌপথ এখনো শান্তির , নিরাপদ। নৌপথটি চালু হলে সড়কপথের চাপ কমে আসবে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী শ্যামবাজার, বাংলাবাজার, সদরঘাট, বাদামতলী, ওয়াইজঘাট এলাকায় মুন্সীগঞ্জের হাজার হাজার মানুষ  প্রতিদিন আসা যাওয়া করে থাকে।
 লঞ্চের কোনো লাইন না থাকায় গুটি কয়েক মানুষজন ট্রলার যোগে ওই সব এলাকায় যাতায়াত করে থাকে। 

লঞ্চের লাইন পুনরায় চালু হলে আগের চেয়েও অনেক বেশি 
মানুষজন নৌপথে চলাচল করবে বলে অনেকেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow