সোনাইমুড়ীতে দোকানঘরে অগ্নিসংযোগ করে দখল চেষ্টার অভিযোগ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া বাজারে দোকানঘরে অগ্নিসংযোগ করে দখলের চেষ্টা ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে পুড়ে যাওয়া দোকানঘরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সাইফুল ইসলাম শিপন ও সৈয়দ মাহমুদ হাসান। তারা অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম শিপন অভিযোগ করেন, ইতালী নজরুল, দিদার ও টিটু নামের কয়েকজন দোকানে আগুন দেওয়ার সঙ্গে জড়িত। তারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দোকান দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান। ইতোপূর্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফম বাবুল বাবু বিভিন্নজনকে দিয়ে দোকান দখলের চেষ্টা করেছিলেন। আগুন লাগানোর মামলার আসামিরা জামিনে এসে আবারও দোকান দখল ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
মার্কেটের ব্যবসায়ী রতন দেব পাল বলেন, “দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে আমি এখানে ব্যবসা করছি এবং নিয়মিত ভাড়া দিয়ে আসছি। কিন্তু হঠাৎ আগুন লাগার পর দেখি নতুন একজন দখলদার দোকানটি দখল করার চেষ্টা করছে।”
ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত দোকানঘর জবরদখলের অপচেষ্টা চলছে। গত ১৭ এপ্রিল দোকানে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন পশুপাখি ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন কাজল, মুদি ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম, স’মিল মালিক হুমায়ুন, মুদি ব্যবসায়ী লিটনসহ অন্তত ৮ জন ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বজন দাবি করেন, অভিযুক্তদের দুজন বর্তমানে বিদেশে এবং একজন কারাগারে রয়েছেন; তারা এ ঘটনায় জড়িত নন।
যোগাযোগ করা হলে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, “দোকানঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি আমার জানা নেই।”
What's Your Reaction?






