শিক্ষাঙ্গন নাকি মাদকের অভয়ারণ্য? কুবির হলে ফের মাদক উদ্ধার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কাজী নজরুল ইসলাম হলের ৩০৭ নং কক্ষ থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে প্রভোস্টের অভিযানে ওই রুমের একটি টেবিলের ড্রয়ার থেকে মাদকদ্রব্যগুলো উদ্ধার হয়। এর আগে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে প্রভোস্টের অভিযান চলাকালীন ওই রুমে অবস্থানরত তিনজনকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডোপ টেস্টের জন্য পাঠানো হয়৷
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন, কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৩০৭ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী রবিউল আওয়াল রবিন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সবুজ । তারা উভয়ই ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষার্থী। অপর একজন হলেন মাদক গ্রহনের অভিযোগে বহিষ্কৃত ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইদ উদ্দিন আহমেদ(আনাছ)।
প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, হলে মাদকাসক্ত শিক্ষার্থী থাকার অভিযোগে সোমবার রাতে হল প্রভোস্ট অভিযান চালানোর সময় তিনজনকে সন্দেহ হলে প্রভোস্ট তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় ঐ রুমের বাহিরে নিচে গাঁজা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তাদের ডোপটেস্টের জন্য পাঠানো হলে তাদের রুমে আরো মাদকদ্রব্য থাকতে পারে এমন সন্দেহে ঐ কক্ষে পুনরায় তল্লাশি চালান হল প্রভোস্ট। এসময় ঐ কক্ষের একটি টেবিলের ড্রয়ার থেকে মাদকদ্রব্য (গাঁজা) ও ব্যবহৃত বুলেট উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রবিন বলেন, আমরা মাদকের সাথে যুক্ত নই। আমাদের আগামী ছয় তারিখ সেমিস্টার থাকায় বন্ধুকে নিয়ে পড়াশোনা ও আড্ডা দিচ্ছিলাম।
রুমে মাদক পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, "আমাদের যখন ডোপটেস্ট করাতে পাঠানো হয় তখন অন্য কেউ তা রেখে যেতে পারে।"
তবে বিষয়টি নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রভোস্ট বলেছেন ভিন্ন কথা। হল প্রভোস্টের মতে, তিনি সন্দেহের বশে তার রুমে নিজে প্রবেশ করেন এবং তল্লাশি করে গাঁজা পান।
হল প্রভোস্ট মোঃ হারুন বলেন, প্রথমবার তাদের কাছে সরাসরি মাদক পাই নি। তবে তাদের আচরণে বিভিন্ন অসংলগ্নতা দেখা যায়। ফলে পরবর্তীতে তাদের কক্ষে সার্চ করলে গাঁজা পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে হল প্রশাসনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা তাদের রুমটি তালা মেরে দিয়েছি। আগামীকাল আমরা হল প্রশাসন থেকে বিষয়টি প্রক্টরিয়াল বডির কাছে পাঠাবো। তারা তদন্ত সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত জানাবে।
What's Your Reaction?






