কিশোরগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বিএমএসএফ সভাপতির গ্রেপ্তার

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা শাখার বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) সভাপতি আওলাদ হোসেনকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অন্যান্য সাংবাদিকদের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন আওলাদ। পুলিশ তাকে সেখান থেকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলে বলে অভিযোগ তার সহকর্মীদের।
আওলাদের সহকর্মী এবং বিএমএসএফের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান, এক সময় আওলাদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে গত তিন মাস আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি দলের সকল কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। এরপরও তাকে গ্রেপ্তার করা স্থানীয় সাংবাদিকরা ভালোভাবে মেনে নিতে পারছেন না।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আওলাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর বলেন, “আওলাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো মামলা না থাকা সত্ত্বেও কেন একজন পেশাদার সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হলো? পুলিশকে অতিউৎসাহী হয়ে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা সন্দেহ করছি, কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে স্পর্শকাতর কোনো পেন্ডিং মামলায় আসামি করার পাঁয়তারা করছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সাংবাদিক ও পুলিশের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র।”
বিএমএসএফ আরও জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে — কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা থাকলে তা তদন্তে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না। কিন্তু কিশোরগঞ্জের এ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকা সত্ত্বেও তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। সংগঠনের নেতারা এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “আওলাদ একজন পেশাদার সাংবাদিক। তিনি দীর্ঘ ৪-৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামা বা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এমন কোনো অভিযোগ নেই। তবুও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হলো?”
এদিকে, আওলাদের সহকর্মীরা এ গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া, বিএমএসএফের কেন্দ্রীয় কমিটি দ্রুত এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেবে বলেও জানিয়েছে।
What's Your Reaction?






