ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলে যানজটে আটকা পড়া যানবাহনে ডাকাতি

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজটের সুযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুটি মাইক্রোবাসে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভোররাতে উপজেলার শাহবাজপুর ব্রিজ এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একদল ডাকাত যানজটে আটকে পড়া যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়। এ ঘটনায় প্রায় ৮ লাখ টাকার নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান সামগ্রী খোয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, গত বুধবার রাতে মহাসড়কের বিশ্বরোড এলাকায় একটি বালুবাহী ট্রাক বিকল হওয়ায় প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এর রেশ ধরে বৃহস্পতিবার পেরিয়ে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট অব্যাহত ছিল। এই সুযোগকেই কাজে লাগায় ডাকাত দল।
ভুক্তভোগী যাত্রী এবং এমএইচসি নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রুবেল আরিফ জানান, তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে সিলেটে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে একটি মাইক্রোবাসে যাচ্ছিলেন। রাত পৌনে ৪টার দিকে শাহবাজপুর ব্রিজ এলাকায় যানজটে আটকা পড়লে ৮ থেকে ১০ জনের একটি ডাকাত দল তাদের গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। ডাকাতরা দেশীয় অস্ত্রের মুখে তাদের কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা, পাঁচটি দামি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। একই সময়ে পাশের আরেকটি মাইক্রোবাসেও হানা দিয়ে লক্ষাধিক টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন লুটে নেয় বলে জানান তিনি।
রুবেল আরিফ আরও বলেন, ঘটনার আকস্মিকতায় তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। ডাকাতির কয়েক মিনিটের মধ্যেই সরাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আবীর আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
তবে এ বিষয়ে জানতে এস.আই আবীর আহমেদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, "মহাসড়কের দায়িত্ব মূলত হাইওয়ে পুলিশের। তবে শুনেছি, কিছু যুবক কয়েকটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। পুলিশের টহল দল পৌঁছানোর আগেই তারা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।"
অন্যদিকে, বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিশ্বরোড গোলচত্বর এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত থাকায় এবং ঘটনাস্থলটি সরাইল থানা পুলিশের অধীনে হওয়ায় তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট এবং তার জেরে ঘটা ডাকাতির ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই ঘটনায় মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
What's Your Reaction?






