লামার রাস্তায় পানিবন্দি মানুষের ক্ষোভ, সড়ক অবরোধের আল্টিমেটাম

"জুলাই পুনর্জাগরণের ডাক" যখন দেশজুড়ে অধিকার আদায়ের স্লোগানে পরিণত হয়েছে, তখন সেই ডাকেই নিজেদের বঞ্চনার প্রতিবাদের আওয়াজ তুলল বান্দরবানের লামার পানিবন্দি মানুষ। চার মাস ধরে জলাবদ্ধতার নরকীয় দুর্ভোগে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে রাস্তায় নেমেছে লামা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে গ্রামের প্রধান সড়কে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিলে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনে অবিলম্বে ড্রেন নির্মাণের দাবি জানান তারা। এ সময় বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের দুর্নীতি ও প্রশাসনের "মিথ্যা আশ্বাসের" বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভুক্তভোগীরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নারী-পুরুষরা জানান, প্রধান সড়কের পাশে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো এলাকা ডুবে যায়। এতে নয়াপাড়ার প্রায় ৪০টি পরিবার বিগত চার মাস ধরে পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, "স্থানীয় প্রশাসন বারবার চেষ্টা করার কথা বললেও গুটি কয়েক প্রভাবশালী পরিবারের বাধার মুখে জনগণের ভোগান্তি লাঘবে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। আর সড়ক ও জনপথ বিভাগ বরাবরই এ বিষয়ে উদাসীন। মনে হচ্ছে, কোনো একটি মহল намеренно জনগণকে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার ষড়যন্ত্র করছে।"
ক্ষুব্ধ বক্তারা আরও বলেন, "জুলাই পুনর্জাগরণে অধিকার আদায়ে উজ্জীবিত জনতা সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেবে। সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কার্পেটিং সড়ক চোখের সামনে নষ্ট হচ্ছে, অথচ সওজ নির্বিকার। সড়কের জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ হলেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না।"
মানববন্ধন থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে কড়া আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ড্রেন নির্মাণে দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে, আগামী ১৬ আগস্ট সড়ক অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন গ্রামবাসীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র রিপোর্টার মোঃ কামরুজ্জামান, সাবেক কাউন্সিলর মোঃ কামাল উদ্দিন, মোঃ দুলাল, মোঃ জসিম উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
What's Your Reaction?






