আ’লীগ নেতাকে বাড়িতে আশ্রয়, হাতিয়ায় তাঁতী দল সভাপতি বহিষ্কার

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতাকে নিজের বাড়িতে গোপনে রাখার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতা হলেন বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি মোহাম্মদ সৈকত। তিনি একই ইউনিয়নের মজু মাঝি চেয়ারম্যান বাড়ির মৃত মো. জসিমের ছেলে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্য সচিব এডভোকেট মোরশেদ আলম নিপু বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্য সচিব এডভোকেট মোরশেদ আলম নিপুর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁতী দল সভাপতি মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হলো। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে সঠিকভাবে কমিটি মূল্যায়ন না করায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ভোরে বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে ১০টি ককটেলসহ নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বেদনকে আটক করে পুলিশ। ফুফা-ভাগনে সম্পর্কের এই দুইজনের মধ্যে বেদন দীর্ঘদিন সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড হরিষপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।
বহিষ্কৃত সৈকত দাবি করেন, তিনি মূলত ব্যবসায়ী। “আমি বাড়িতে থাকি না, দোকানে বেশি সময় কাটাই। শুনেছি, তিনি ৭-৮ দিন আগে আমাদের বাড়িতে এসেছেন এবং অন্য ঘরে অবস্থান করেছেন। আমরা কেউ জানতাম না যে তিনি বাড়িতে আছেন, জানলে পুলিশকে জানাতাম।”
জেলা তাঁতী দলের সদস্য সচিব মোরশেদ আলম নিপু বলেন, “পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ার কারণে সৈকতকে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।”
What's Your Reaction?






