কুরবানির আগে কাঙ্খিত বিক্রি না হওয়ায় হতাশ ফরিদপুরের কামাররা

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে আগামী শনিবার। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে চলছে প্রস্তুতি। কুরবানির পশু জবাইয়ের অপরিহার্য উপকরণ—চাপাতি, দা, ছুরি ইত্যাদি তৈরি ও বিক্রিতে সবচেয়ে ব্যস্ত সময় পার করার কথা ছিল কামারশিল্পে নিয়োজিতদের।
তবে বাস্তবচিত্র ভিন্ন। কাঙ্ক্ষিত বেচাকেনা না হওয়ায় ফরিদপুরের কামাররা হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক কম সংখ্যক অস্ত্রপাতি বিক্রি হয়েছে।
আলিপুর নতুন ব্রিজ সংলগ্ন কামারপট্টির ব্যবসায়ী বাদল কর্মকার বলেন, ‘এ বছর যে বিক্রির আশা করেছিলাম, তা হয়নি। বরং গত বছর যে পরিমাণ বিক্রি করেছি, এবার তা থেকেও অনেক কম।’
বাদল কর্মকার জানান, তার দোকানে বর্তমানে একটি চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ১,০৫০ থেকে ১,২০০ টাকায়, ছোট ছুরি ২০০ টাকা, মাঝারি ছুরি ৬০০ টাকা এবং বড় ছুরি ১,৪০০ থেকে ১,৬০০ টাকায়। তবু তেমন ক্রেতা মিলছে না।
তিনি বলেন, ‘মানুষের হাতে টাকা নেই। এজন্যই হয়তো লোকজন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করছে। আশা করছি ঈদের আগের দিন শুক্রবার (৬ জুন) কিছুটা বিক্রি বাড়তে পারে।’
কামারশিল্পে নিয়োজিত অন্যদেরও অভিমত একই। তারা বলছেন, কাঁচামালের দাম বেড়েছে, বিদ্যুৎবিভ্রাটে কাজেও বিঘ্ন ঘটেছে, তার ওপর বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি নেই বললেই চলে—সব মিলিয়ে এবারের ঈদে ব্যবসা বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে।
তবে শেষ দিনের আশায় এখনো অপেক্ষা করছেন কামাররা। তাদের প্রত্যাশা, অন্তত ঈদের আগের দিনটিতে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াবে তাদের ব্যবসা।
What's Your Reaction?






