পিরোজপুরে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যকে মারধর, চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলা ও গ্রেপ্তার ২

পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নে এক সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যের ওপর হামলা ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ জুন) এ বিষয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে (মামলা নং-১৬/২০২৫)।
ভুক্তভোগী নেপাল মজুমদার পেশায় স্বর্ণকার। তিনি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নেতৃত্বে একদল যুবক তাকে জোরপূর্বক দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে গজালিয়া এলাকার একটি বাগানে আটকে রেখে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, শাওন খান ও হানিফ শেখ নামে দুই অভিযুক্ত তাকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর তারা তার বাড়িতে গিয়ে তার মেয়ে তমা মজুমদারের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর নেয় এবং স্ত্রী অর্পিতা মজুমদারের কাছ থেকে কৃষি ব্যাংকের একটি ব্ল্যাংক চেক ছিনিয়ে নেয় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
চাঁদার ১০ লাখ টাকা না দিলে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি হানিফ শেখ (পিতা: আ. হালিম শেখ, সাং: পুখুরিয়া) ও শাওন খান (পিতা: দেলোয়ার খান, সাং: উদয়কাঠি) এর বিরুদ্ধে পূর্বেও মাদক, ইয়াবা ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অপু দাস জানান, “দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে নেপাল মজুমদার জানিয়েছেন, ঘটনার পর তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তার অভাবে এলাকা ছেড়ে খুলনায় আত্মগোপনে রয়েছেন এবং চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
What's Your Reaction?






