চিৎমরম-আমতলী সড়ক ও কালভার্ট যেন মরণ ফাঁদ

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৩ নম্বর চিৎমরম ইউনিয়নের আগাপাড়া-আমতলী সড়কের কালভার্টটি ডেবে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এর আশপাশে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। ফলে এই পথ দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী হাজারো মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী, রোগী, বয়স্ক ও কৃষিজীবীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চিৎমরম বাজার থেকে চাকুয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার পাহাড়ি সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত কালভার্টটি দেবে গেছে। পাশাপাশি সলিং ইটও উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সন্ধ্যার পর অন্ধকারে পথচলা হয়ে উঠছে আরও বিপজ্জনক।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আমতলী পাড়ার ছংড়াছড়ি ছড়ার ওপর কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সেই কালভার্টের সংযোগ সড়কগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। বৃষ্টিতে ইট-বিছানো রাস্তা ধসে গিয়ে জনভোগান্তি আরও বেড়েছে।
থোয়াইচিং মারমা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "কালভার্ট ও রাস্তার কারণে আমাদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অংহ্লাথুই মারমা বলেন, "প্রতিদিন চারটি গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করেন। আমরাও কৃষিপণ্য এই রাস্তা দিয়ে বাজারজাত করি।"
স্থানীয় কারবারি অংসাথুই মারমা জানান, "আমরা প্রতিদিন কলা, আম, সবজি ও অন্যান্য ফসল এই সড়ক দিয়ে চিৎমরম বাজারে নিয়ে যাই। কিন্তু রাস্তা ও কালভার্টের দুরবস্থার কারণে সময়মতো পৌঁছানো যায় না, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।"
৩ নম্বর চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী বলেন, "সড়ক ও কালভার্টটির বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। এটি সংস্কারের জন্য রাঙামাটি জেলা পরিষদকে অনুরোধ করেছি। ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব কোনো বাজেট না থাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।"
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এই সড়ক ও কালভার্টটি সংস্কার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
What's Your Reaction?






