অবৈধ গ্যাস সংযোগে সাঁড়াশি অভিযান
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন তিনটি মোবাইল কোর্ট। এসব অভিযানে বিপুল সংখ্যক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমানের নেতৃত্বে তিনটি স্থানে অভিযান চালানো হয়। কেওডালা এলাকার অলিম্পিক বিস্কুট গলিতে আনুমানিক ৩০০টি চুলার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এখান থেকে প্রায় ৬০ ফুট ২" এমএস পাইপ, ৫০ ফুট হোস পাইপ, ২টি রেগুলেটর ও ১টি কম্প্রেসর মেশিন জব্দ করা হয় এবং সংযোগের উৎস লাইন কিল করা হয়।
মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান "হামজা মিষ্টির দোকান" ও "হামজা বেকারী"-তে ৩৪৫ সিএফটি/ঘণ্টা গ্যাস ব্যবহার করার দায়ে ১ লাখ টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই জায়গায় মো. সুরুজ মিয়া নামে এক গ্রাহকের আবাসিক সংযোগ বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে আরও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া, বিভিন্ন আকারের পাইপ ও স্টার বার্নার অপসারণ করে উৎস লাইন কিল করা হয়।
কলাবাড়ী, দেওয়ানবাগ এলাকায় একটি চুন ফ্যাক্টরিতে ২০০০ সিএফটি গ্যাস লোডসহ ২০টি চুলার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানে ২০০ ফুট হোস পাইপ, ১০০ ফুট এমএস পাইপ ও ২টি রেগুলেটর জব্দ করা হয়।
অপরদিকে, সিনিয়র সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিমন সরকারের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ শহরের চৌধুরীবাড়ী ও চিত্তরঞ্জন পুকুরপাড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসব এলাকায় প্রায় ২ কিলোমিটার অবৈধ ৩/৪" গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় প্রায় ১৪০০টি ঘরের ২২০০টি চুলায়। জব্দ করা হয় ১৫০০ ফুট পাইপ ও ৫০০ ফুট প্লাস্টিকের হোস পাইপ।
চৌধুরীবাড়ী বাসস্ট্যান্ডের "নিউ আল মেরাজ হোটেল এন্ড বিরিয়ানি হাউজ" নামের হোটেলে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেখানে ৩টি স্টার বার্নার ও ১টি গ্রিল জব্দ করা হয়।
এছাড়া, তিতাস গ্যাস টি অ্যান্ড ডি পিএলসির আওতাধীন মিরপুর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। মিরপুর-১২ এলাকায় “সুপার জিন্স ওয়াশিং”, “প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনাল”, “সালাম ক্যাটারিং সার্ভিস”, “ক্যাফে জনতা হোটেল”, “আটলান্টা ফেব্রিকস ইন্টারন্যাশনাল” ও “নিউ জিন্স ওয়াশিং এন্ড ডাইং”-এ অবৈধভাবে ব্যবহৃত মোট ১০,৬৪১ ঘনফুট/ঘণ্টা গ্যাস লোড বিচ্ছিন্ন করা হয়। জব্দ করা হয় বিভিন্ন আকারের জিআই পাইপ, হোস পাইপ, রেগুলেটর ও কম্প্রেসর। অভিযানে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। জ্বালানি সাশ্রয় ও নিরাপদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার এই কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
What's Your Reaction?






