ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারে সভাকালীন হট্টগোল, লাঞ্ছনা-ছিনতাইয়ের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যকরী কমিটির সভাকালীন সময়ে একদল লোক চেম্বার কার্যালয়ে ঢুকে হট্টগোল ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে চেম্বারের কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত ও মারধরের পাশাপাশি নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের এসএসডি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে জেলা শহরের মসজিদ রোড এলাকায় চেম্বারের নিজস্ব ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
চেম্বারের সচিব আজিম উদ্দিন ও হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, সভাকালীন একদল বহিরাগত তাদের ওপর হামলা চালিয়ে দুটি মোবাইল ফোন, ৩২ হাজার টাকা এবং এসএসডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়। এর মধ্যে সচিব আজিম উদ্দিনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ও দুটি ফোন এবং হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন এফবিসিসিআই নির্বাচনে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে এদিন জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। ২০ সদস্যের কার্যকরী পরিষদের মধ্যে সাতজন সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন। তারা ছয়জন ভোটারের নাম নির্ধারণে আলোচনা করছিলেন। এ সময় চেম্বারের সদস্য কাজল মিয়াসহ কয়েকজন সভায় প্রবেশ করে বাধা দেন এবং সভার রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এক মিনিট ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সভাপতি আজিজুল হক সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেসময় কাজল মিয়া তাকে উদ্দেশ্য করে তীব্র আচরণ প্রদর্শন করেন এবং রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নিতে চান। উপস্থিত সদস্যরা বাধা দিলে তা সম্ভব হয়নি।
হিসাবরক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “একদল লোক হঠাৎ অফিসে ঢুকে আমাকে কক্ষ থেকে বের করে মারধর করে। আমার শার্ট ছিঁড়ে গেছে। পকেটে থাকা ২২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।”
অন্যদিকে চেম্বারের সাধারণ সদস্য কাজল মিয়া অভিযোগ করেন, বর্তমান কমিটির অধিকাংশই আওয়ামীপন্থী এবং তারা ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত। কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। তার ভাষায়, “গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে কোনো সভা হয়নি। এখন হঠাৎ করে চুপিসারে সভা করা হচ্ছে, এটি ঠিক নয়।”
চেম্বার সভাপতি আজিজুল হক বলেন, “সভা শেষে চলে যাওয়ার পরেই হামলার ঘটনা ঘটে। সচিব ও হিসাবরক্ষকের ওপর হামলা করে টাকা ও ফোন নিয়ে গেছে।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কারা টাকা বা ফোন নিয়ে গেছে, সে বিষয়ে কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেনি। তবে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনায় চেম্বার ও ব্যবসায়ী মহলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
What's Your Reaction?






