৫ মাস আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ: প্রধান আসামি চট্টগ্রামে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

রিপন মজুমদার, জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালীঃ
Jun 29, 2025 - 12:20
 0  5
৫ মাস আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ: প্রধান আসামি চট্টগ্রামে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে এক কিশোরীকে অপহরণের পর পাঁচ মাস আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে জাহেদ হাসান (৩৭) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার জাহেদ হাসান হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরফকির গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি তিন সন্তানের জনক এবং ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রতিবেশী।

শনিবার রাতে র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১১ ও র‍্যাব-৭ এর একটি যৌথ দল শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভক্তপুর ইউনিয়নের সাঁকোতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে জাহেদকে গ্রেপ্তার করে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ৬ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরী বাড়ির পাশের মাঠে ধান শুকাতে গেলে ঘন কুয়াশার সুযোগ নেয় জাহেদ। সে কিশোরীর মুখে চেতনানাশক স্প্রে করে তাকে অপহরণ করে চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাস্তার মাথায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাসায় আটকে রেখে দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করা হয়।

ভুক্তভোগী কিশোরী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে आरोपी জাহেদ ধারালো ছুরি দিয়ে তার ডান হাতের কনুইয়ে জখম করে এবং নদীতে বা ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যার হুমকি দেয়। এই পাশবিক নির্যাতনের ফলে কিশোরীটি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে জাহেদ জোরপূর্বক ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে। দীর্ঘ পাঁচ মাস নির্যাতনের পর গত ১৮ জুন দুপুরে आरोपी জাহেদ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ির কাছে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার হাতিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এবং পরবর্তীতে আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালতের নির্দেশে হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা রুজু করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা মিঠুন কুমার কুণ্ডু জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামি জাহেদ হাসানকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow