ইন্দুরকানীতে মৃত্যুফাঁদ ৫ বেইলি ব্রিজ, ৬ দিনেও চালু হয়নি মালবাড়ি সেতু

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় অবহেলায় পড়ে থাকা পাঁচটি বেইলি ব্রিজ এখন এলাকাবাসীর কাছে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে চন্ডিপুরের মালবাড়ি খালের ওপর নির্মিত একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় পুরো উপজেলার সড়ক যোগাযোগে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
গত ১৯ জুন রাত ৯টার দিকে কয়লা বোঝাই একটি ট্রাক মালবাড়ি ব্রিজ পার হওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে খালে। এরপর থেকে ইন্দুরকানী, মোড়েলগঞ্জ, সন্ন্যাসী, কলারন ও আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ এবং মালবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন রোগী, শিক্ষার্থী, মৎস্যজীবী ও কৃষিপণ্য পরিবহনকারী চালকরা।
স্থানীয়রা জানায়, মালবাড়ি ছাড়াও ওই সড়কের অন্তত চারটি বেইলি ব্রিজের অবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। মরিচায় ক্ষয়ে গেছে স্টিলের পাত, দেবে গেছে পাটাতন। কোনো কোনো স্থানে সামান্য জোড়াতালি দিয়ে চলছে যান চলাচল। কিন্তু তা যে কোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মঞ্জু বলেন, “বছরের পর বছর ধরে ব্রিজগুলোর অবস্থা এমনই। এখন একটার পর একটা ভেঙে পড়ছে। স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।”
এ বিষয়ে পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী টি.এম রাজিমুল আলীম রাজু বলেন, “ব্রিজগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সম্পর্কে আমরা অবগত। স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাজেট পেলেই কাজ শুরু হবে। মালবাড়ি ব্রিজ সংস্কারে আরও ৭-৮ দিন সময় লাগবে।”
ইন্দুরকানী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেন, “এই সড়কটি দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। তাই ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজগুলো দ্রুত অপসারণ করে স্থায়ী ও টেকসই ব্রিজ নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।”
এদিকে, ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার ছয় দিন পার হলেও তা মেরামত বা বিকল্প পথ তৈরির উদ্যোগ না থাকায় ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
What's Your Reaction?






