ভারতে ছয় ধরণের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ

ভারত সরকার বাংলাদেশের ছয় ধরণের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানি কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে তৈরি পোশাক, ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয় ও কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা ও সুতার উপজাত এবং আসবাবপত্র। এর মধ্যে তৈরি পোশাক ও কাঠের আসবাব বাদে বাকি পণ্যগুলো নিয়মিতভাবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি করা হতো।
আজ সোমবার (১৯ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাত্র ১৬টি গাড়িতে তিনটি পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ৮টি গাড়িতে ৩৭ মেট্রিকটন বরফায়ীত মাছ, ৭টি গাড়িতে ৮৬ মেট্রিকটন ভোজ্যতেল এবং একটি গাড়িতে ১৯ মেট্রিকটন পাটজাত পণ্য পাঠানো হয় ত্রিপুরার আগরতলায়। যেখানে আগে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা যেত, সেখানে এখন কার্যত শুনশান নীরবতা।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৪২৭ কোটি ৮৮ লাখ ৭২ হাজার ৪৩০ টাকার ৫৪ হাজার ৪৪২ দশমিক ২২ টন পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। তবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এ পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৪৫৩ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৩ টাকার ৩৮ হাজার ৮৮৭ দশমিক ১৩ টন পণ্য। অন্যদিকে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আমদানি হয়েছিল ৭ কোটি ৫ হাজার ২০৩ টাকার ৩৮ হাজার ৭৮৩ টন পণ্য। এ থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৪৬ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮১ টাকার ১০৬ টন পণ্য আমদানি হয়েছে এবং রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার ৯৪০ টাকা।
মৎস্য রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, “কিছুদিন আগেই ট্রানশিপমেন্ট বন্ধ করেছে ভারত। এখন আবার মাছ, পাথর ও তেল বাদে সব পণ্য বন্ধ করে দিয়েছে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছি। দুই দেশের সরকারকে দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একইসঙ্গে কর্মসংস্থানেও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
What's Your Reaction?






