অবশেষে বদলি মিরাট ইউনিয়নের বিতর্কিত ভূমি কর্মকর্তা দুরুল হোদা
নওগাঁর রাণীনগরে ঘুস ও অনিয়ম–দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে অবশেষে মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) দুরুল হোদাকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. জুবায়ের হোসেন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তার বদলি কার্যকর করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হয়।
অফিস আদেশ অনুযায়ী দুরুল হোদাকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ব্যাপক ঘুস বাণিজ্য ও অনিয়ম–দুর্নীতির চিত্র গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ১৯ আগস্ট অফিসের প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগকে বদলি করা হয়। তবে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও দুরুল হোদা দীর্ঘদিন ধরেই বহাল ছিলেন। অবশেষে ১২ নভেম্বর জারিকৃত এক অফিস আদেশে তাকে বদলি করা হলো।
এদিকে দুরুল হোদার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। রাণীনগর উপজেলা ভূমি অফিসকে অভিযোগনামা ও অভিযোগবিবরণী প্রস্তুত করে জরুরিভিত্তিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদানের পর থেকেই দুরুল হোদা ঘুস বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। খাজনার অনুমোদন, খাজনার চেক তৈরি, খারিজের প্রতিবেদন–প্রস্তাব, হোল্ডিং এন্ট্রি, মিসকেস, বিভিন্ন প্রতিবেদন তৈরি থেকে শুরু করে জমিজমার যেকোনো সমস্যা সমাধানে দুই হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে—ঘুষ না দিলে মাসের পর মাস সেবা পাওয়া যেত না।
রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবিলা ইয়াসমিন বলেন, “বদলির আদেশ হাতে পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে অবমুক্ত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় নথি দ্রুত পাঠানো হবে।”
What's Your Reaction?
কাজী আনিছুর রহমান, রাণীনগর প্রতিনিধি, নওগাঁঃ