ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য সুখবর ঈদে ঘুরে আসুন রুমার বগালেক ও মুনলাই পাড়া

নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘ ৩৩ মাস পর সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হচ্ছে বান্দরবানের রুমা উপজেলার কিছু পর্যটন স্পট। আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের জন্য এই সুযোগ তৈরি করেছে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে রুমা সেনা জোন সদরে এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ৩৬ বীর রুমা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী সরকার। তিনি বলেন, “স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সীমিত পরিসরে পর্যটকদের জন্য কিছু স্পট খুলে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঈদের মাঝামাঝি সময় থেকে রুমার কিছু দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা।”
তবে এখনো রুমার সব পর্যটন স্পট পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত নয়। আপাতত বগালেক এবং মুনলাই পাড়ার বেস্ট ক্যাম্প ও রিসোর্ট ঘুরে দেখার অনুমতি থাকবে। বগালেকের রিসোর্টগুলোতে পর্যটকেরা রাত্রিযাপনও করতে পারবেন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রুমা কলেজের প্রভাষক সুইপ্রুচিং মার্মা, ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম, অংসিনু মার্মা, অনাথালয়ের পরিচালক ভিক্ষু নাইন্দিয়া, সাবেক বিএসসি-বি সভাপতি লালদুহসাং বম, ব্যবসায়ী নেতা খলিলুর রহমানসহ সেনাবাহিনী, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাংবাদিক, ট্যুর গাইড, গাড়িচালক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
সভায় মেজর মেহেদী সরকার আরও বলেন, “আগামী ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলে পর্যায়ক্রমে রুমার অন্যান্য পর্যটন এলাকাও খুলে দেওয়া হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় রুমা জোন চেকপোস্টে নাম ও কাগজপত্র একবার নিবন্ধন করলেই হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর বান্দরবানের রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় কেএনএফ ও জঙ্গি দমনে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটন স্থানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। রোয়াংছড়ি ও থানচিতে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও রুমায় তা বলবৎ ছিল এতদিন।
পর্যটক গাইড মো. আলমগীর বলেন, “সীমিত পরিসরে হলেও রুমার দরজা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ। আশা করি ভবিষ্যতে সব স্পটই উন্মুক্ত হবে।”
What's Your Reaction?






