নিখোঁজের দুই দিন পর পুলিশ সদস্য সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার

নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির দুই দিন পর নিখোঁজ পুলিশ সদস্য মো. সাইফুল ইসলামের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজার সংলগ্ন মেঘনার পাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সাইফুল লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন এবং গত তিন বছর ধরে জেলার বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, দরবেশ বাজারের দক্ষিণে চরের পাশে মেঘনার পাড়ে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান তারা। পরে ছবি তুলে বিষয়টি পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৩১ মে) দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এতে পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও এনজিওকর্মীসহ মোট ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রাপথে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের কাছে মেঘনায় ট্রলারটি বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “বিকেলে সাইফুলের মরদেহ ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে মেঘনার পাড়ে আসে। শনাক্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এবং তামিম নামে এক রোহিঙ্গা শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারে কোস্টগার্ডের তল্লাশি অভিযান চলছে।
এ ঘটনায় সাইফুলের পরিবার ও সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
What's Your Reaction?






