১৯ বছরেও চালু হয়নি পিরোজপুরের কলারন-সন্ন্যাসী ফেরি

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কলারন-সন্ন্যাসী ফেরি দীর্ঘ ১৯ বছর বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। সুন্দরবনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ থাকায় নারী, শিশু, শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারেই নদী পারাপার করছেন। উত্তাল ঢেউয়ের মধ্যেও নদী পারাপারের এই যাত্রা তাদের জন্য দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ৪ আগস্ট তৎকালীন সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর উদ্যোগে কলারন-সন্ন্যাসী ফেরিটি চালু হয়। এক বছর পর সরকার পরিবর্তনের পর ফেরিটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০৭ সালে সিডরের সময় কলারন প্রান্তে ফেরিঘাটের পন্টুন স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া ও চরে আটকে থাকার পরও তা উদ্ধার করে পুনঃস্থাপন করা হয়নি।
ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, “মাঝে মাঝে ট্রলার না থাকায় পারাপারে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই ঘাটটি আমাদের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফেরি না থাকায় হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ে।”
স্থানীয় চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মঞ্জু বলেন, “ফেরিঘাট পুনরায় চালু হলে ইন্দুরকানী থেকে শরনখোলা, সুন্দরবন, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ অনেক সহজ হবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।”
পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, “কলারন-সন্ন্যাসী ফেরিঘাট সিডরের সময় ধ্বংস হয়। ফেরি পুনঃস্থাপনের জন্য আন্ত মন্ত্রণালয়ে মিটিং হয়েছে। পিরোজপুর প্রান্তে কাজ শুরু হয়েছে, তবে বাগেরহাটের সন্ন্যাসী প্রান্তে প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাজেটের অনুমোদন প্রয়োজন।”
তিনি আরও জানান, “বাগেরহাট সড়ক বিভাগ প্লাটফর্ম তৈরির কাজ শেষ করে প্রাক্কলিত মূল্য এবং প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে। পিরোজপুর প্রান্তের কাজ শেষ হলে ফেরি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।”
জরুরি যোগাযোগ ব্যবস্থার এ অবস্থা দ্রুত ঠিক না হলে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়তে থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা উদ্বিগ্ন।
What's Your Reaction?






