শামা ওবায়েদের হুঁশিয়ারির পরেও নদী হতে বালু উত্তোলন, হুমকিতে কোটির টাকার ব্রিজ

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া মিয়াপাড়া এলাকায় কুমার নদে ফের অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নতুন ব্রিজের নিচ থেকে উত্তোলিত বালু ব্রিজের গোড়ায় ফেলা হচ্ছে, এতে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি নদীর দুই পাড়ে ভাঙনের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ পাড়ে নাছির হোসেন নামে এক ড্রেজার ব্যবসায়ী নির্বিঘ্নে বালু উত্তোলন করছেন। তিনি নিজেই স্বীকার করেন, কথিত এক সাংবাদিকের মাধ্যমে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তিনি এই কাজ করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একটি প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে নদীর বিভিন্ন অংশে গভীরভাবে বালু উত্তোলন করছে। এতে নদীর তলদেশ নিচু হয়ে যাচ্ছে এবং পানির প্রবাহে দুই পাড়ের মাটি ভেঙে পড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হলো, নদীর ওপর নতুন করে নির্মিত ব্রিজটির ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বালী বলেন, “বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। যত দ্রুত সম্ভব অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
এদিকে পরিবেশবাদীরা বলছেন, কুমার নদ সালথাবাসীর প্রাণ। এই নদী ধ্বংস হলে শুধু একটি ব্রিজ নয়, বরং পুরো অঞ্চলই মারাত্মক পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। প্রশাসনের কাছে তারা দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল বেলা ১১টায় উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড়দিয়া বাজারে কুমার নদসহ বিভিন্ন নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে এক সমাবেশ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। তিনি বালু খেকোদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেও, তা উপেক্ষা করে ফের কুমার নদ দখলের অপচেষ্টা শুরু করেছে একটি প্রভাবশালী চক্র।
What's Your Reaction?






