লামা সাঙ্গু মৌজা সীমানায় আলীকদমের কর্তৃত্ব, ক্ষুব্ধ ম্রো জুমিয়ারা

বান্দরবানের লামা ও আলীকদম উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সাঙ্গু ও তৈন মৌজার সীমানা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্র করে বিহার পরিচালনা কমিটি ও ম্রো জুমচাষিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করছে।
সাঙ্গু মৌজার হেডম্যান চংপাত ম্রো ও স্থানীয় ম্রোরা অভিযোগ করেন, ম্যারাইনতং পাহাড়ের সাঙ্গু অংশে তাদের জুমচাষে বিহার পরিচালক উ:উইচারা ভিক্ষু বাধা দিচ্ছেন। কলাগাছ ছাড়া অন্য ফলদ বা বনজ গাছ রোপণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় পাহাড়ে সবুজ হারিয়ে মরুময় অবস্থা তৈরি হয়েছে।
ম্রোদের দাবি, বিহারের জন্য দান করা পাঁচ একর জায়গায় ভান্তে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে রিসোর্ট ও পড হাউজ নির্মাণ করেছেন, যা ধর্মীয় উদ্দেশ্যের পরিপন্থী। তারা জানান, বিহার থেকে কিছু দূরত্বে একটি কাঠের রিসোর্ট নির্মাণ করলে, ভিক্ষুর নির্দেশে তা ভেঙে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়। বিষয়টি লামা থানায় অভিযোগ আকারে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে বিহার কর্তৃপক্ষের দাবি, ধর্মপ্রাণদের প্রতিবাদে অবৈধ রিসোর্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং পুরো এলাকাটি বিহারের উন্নয়নে আগেই নির্ধারিত।
সীমানা নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় গত ৫ মে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য খামলায় ম্রো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে তিন শতাধিক ম্রো জনগণ উপস্থিত থেকে শান্তিপূর্ণভাবে সীমানা নির্ধারণ ও সমাধানের দাবি জানান।
তবে বিহার পরিচালকের কিছু মন্তব্যে উপস্থিত ম্রোরা ক্ষুব্ধ হলে, ইউএনও সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং পাঁচ একর দানকৃত জমি পরিমাপ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লামা ও আলীকদম থানার ওসি, সাংবাদিক, স্থানীয় ছাত্রনেতা ও ম্রো স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তনয়া ম্রোসহ বহু মানুষ।
ম্রোদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।
What's Your Reaction?






