সরকারি কর্মকর্তার সহযোগিতায় রাস্তার সরকারি গাছ কর্তন, ধামাচাপার চেষ্টা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ গ্রামে সরকারি রাস্তার পাশে অবস্থিত বড় আকৃতির মেহগনি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাদের এই কর্মকাণ্ডে সরকারি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের মদদ থাকার অভিযোগও তুলেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, হোসেনাবাদ গ্রামের রাস্তার দুই পাশে থাকা সরকারিভাবে রোপণকৃত মেহগনি গাছগুলো সম্প্রতি কেটে ফেলা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে গ্রামের নইমুদ্দিনের ছেলে নিজাম ও তার ছেলে মন্টু। তারা দাবি করেন, গাছ কর্তনে বন বিভাগের সহায়তা পেয়েছেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে স্থানীয় বন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, “এই গাছগুলো এলজিডির (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) আওতাধীন। তাদের কাছ থেকেই খোঁজ নিতে হবে।” অপরদিকে এলজিডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “বন বিভাগ আমাদের কাছে এই গাছগুলোর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়নি, তাই আমরা বিষয়টি জানি না।”
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রায় দেড় মাস আগে নিজাম ও তার ছেলে মন্টু তিনটি গাছ কাটতে গেলে বন বিভাগের বাধার মুখে পড়ে। একটি গাছ কেটে ফেলার পর বাকি দুইটি গাছ কাটতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় এবং কাটা গাছটি উদ্ধার করে উপজেলা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
তবে সর্বশেষ গত সোমবার (৯ জুন)—যা ছিল কুরবানির ঈদের তিনদিন পর—স্থানীয় আলম মাস্টার নামে একজন তার লোকজন দিয়ে তিনটি মোটা মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারি গাছ কাটা ও আত্মসাতের এই অপচেষ্টায় বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করছেন।
একই এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, আকিজ ফ্যাক্টরির সংলগ্ন রাস্তায় গাছগুলো বহু বছর ধরে ছিল। এসব গাছ কেটে নেওয়া শুধু পরিবেশের ক্ষতি নয়, সরকারের রাজস্ব হারানোরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
What's Your Reaction?






