মালয়েশিয়ায় খুন হওয়া রমজানের লাশ দেশে পৌঁছে — মহম্মদপুরে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন

মালয়েশিয়ায় নির্মমভাবে খুন হওয়া মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার যুবক রমজান হোসেনের (২৫) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩০ মে মালয়েশিয়ায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন তিনি। দীর্ঘ ১৮ দিন পর মঙ্গলবার (১৭ জুন) একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে।
বিমানবন্দরে রমজানের লাশ গ্রহণ করেন তার বড় ভাই রিপন মোল্যা। পরে রাতেই মরদেহ নিয়ে আসা হয় নিজ বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে। বুধবার (১৮ জুন) সকালে পূর্ব নারায়ণপুর ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত রমজান হোসেন দরিদ্র কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র। তার পরিবার জানায়, সংসারের অভাব-অনটন দূর করতে মাত্র দুই বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। সেখানে একটি কারখানায় কাজ করতেন।
রমজানের বড় ভাই রিপন মোল্যা বলেন, “সামান্য বিষয় নিয়েই পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে খুন করেছে। আমরা দ্রুত হত্যাকারীদের বিচার দাবি করছি।”
রমজান রেখে গেছেন তার স্ত্রী নাজনীন ও দুটি কন্যা সন্তানকে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে স্ত্রী বলেন, “আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমাদের আর দেখার কেউ রইলো না। এখনও দেনা শোধ করতে পারিনি। তাকে ছাড়া আমরা কীভাবে বাঁচবো?”
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর আক্তার জানান, “বিষয়টি জানার পর রমজানের মরদেহ দেশে আনতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।”
স্থানীয়রা জানান, রমজান ছিলো পরিবার-ভিত্তিক একজন সংগ্রামী তরুণ। তার আকস্মিক ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
What's Your Reaction?






