ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডায় যাত্রীর মারধরে অটোচালকের মৃত্যু

নোয়াখালীর চাটখিলে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও চালকের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের জেরে সাইফুল ইসলাম কিরণ (২৭) নামে এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. মিজান হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সোমপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত কিরণ প্রসাদপুর দাই বাড়ির মৃত মো. হানিফের ছেলে। আটক মিজান একই ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের আব্দুল হাশেম মুন্সি বাড়ির মৃত নাজির আহম্মদের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি থাই অ্যালুমিনিয়াম দোকানের মালিক।
পুলিশ জানায়, আগে থেকেই পরিচিত অটোচালক কিরণকে সোমবার বিকেলে স্ত্রী-সন্তানসহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভাড়া চুক্তি নিয়ে মিজানের সঙ্গে তার বাগ্বিতণ্ডা হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে কিরণ ভাড়া না নিয়েই অন্য যাত্রী নিয়ে অলিপুর এলাকায় চলে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেখানেই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বমি করতে থাকেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে কিরণ মারা যান।
এ ঘটনায় উত্তেজিত কিরণের স্বজনরা অভিযুক্ত মিজানের দোকানে হামলা চালায় এবং তাকে মারধরের চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় মিজানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। শরীরে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়দের মধ্যে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারি চালাচ্ছে।
What's Your Reaction?






