আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রাচীর ভেঙে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা

সরোয়ার হোসেন, ভাঙ্গা প্রতিনিধি, ফরিদপুরঃ
May 28, 2025 - 20:21
 0  5
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রাচীর ভেঙে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রাচীর ভেঙে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল দিঘির পাড় গ্রামে পুরনো বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এ প্রাচীর ভেঙে রাস্তা নির্মাণেরও চেষ্টা চালানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী শরীফুল আলম জানান, ওই গ্রামের কামরুল আলম, নাজমুল আলম ও তিনি মিলে ১২৮ নম্বর পাতরাইল মৌজার বিএস ৯২৯ নম্বর খতিয়ানের বিএস ২৬১০, ২৬১১, ২৬০০, ২৬০৫, ২৬০৬, ২৬০৭ দাগভুক্ত ৮১ শতাংশ জমির ভোগদখলে রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে চার শতাংশ জমি পায়ে চলার রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

তিনি আরও জানান, পূর্বেও এ জমি নিয়ে একাধিকবার মামলা-মোকদ্দমা হয়েছে। আদালতের রায় তাদের পক্ষে গেলেও সম্প্রতি খালেক মাতুব্বর, ছালাম মাতুব্বর, মিজানুর রহমান, মোকলেছ মাতুব্বরসহ ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল 'রাস্তা নির্মাণের' নাম করে তাদের জমি দখলের চেষ্টা চালায়।

শরীফুল আলমের অভিযোগ, “আমরা অধিকাংশ সময় বাড়িতে না থাকায় সুযোগ নিয়ে সীমানা প্রাচীর ভেকু দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। মূল্যবান গাছপালাও কেটে নিয়ে যায়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জোরপূর্বক এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।”

স্থানীয় বাসিন্দা মজিবর মাতুব্বরসহ কয়েকজন বলেন, অভিযুক্তরা সম্পূর্ণ পেশিশক্তির মাধ্যমে সীমানা প্রাচীর ভেঙে গাছপালা কেটে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তারা হামলার হুমকি দেয় এবং সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ চালায়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আঃ খালেক মাতুব্বর বলেন, “কয়েকবার সালিশ ডাকা হলেও তারা (শরীফুল গং) আসেনি। তাই আমরা প্রাচীর ভেঙেছি। রাস্তা তৈরি করা হয়েছে মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য।”

এ বিষয়ে আজিমনগর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার বলেন, “জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে একাধিক অভিযোগ আমার কাছেও রয়েছে।”

ভুক্তভোগী শরীফুল আলম জানান, এ ঘটনায় তিনি ভাঙ্গা থানায় একাধিক অভিযোগ করেছেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আশরাফ হোসেন বলেন, “থানায় একাধিক অভিযোগ ও আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। কেউ আইন অমান্য করে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটালে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ছাড়া জমি দখলের এই প্রবণতা থামানো যাবে না। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow