সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই, বিভেদ সৃষ্টিকারীরাই সংখ্যালঘু - মাসুদ সাঈদী

"আমাদের কাছে সংখ্যালঘু বলতে কোনো কথা নেই। যারা ধর্মে ধর্মে দাঙ্গা লাগায়, বিভেদ সৃষ্টি করে, তারাই সংখ্যালঘু।" — এমন এক জোরালো বক্তব্য দিয়ে পিরোজপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়ালেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী। পিরোজপুরের কদমতলা ইউনিয়নে এক পথসভায় সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি এই মন্তব্য করেন, যা মুহূর্তেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
রোববার পিরোজপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত এক লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিয়ানগর উপজেলা পরিষদের সাবেক এই চেয়ারম্যান একটি অসাম্প্রদায়িক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। যে যার ধর্ম নিজের মতো করে পালন করবে।" তাঁর মতে, নাগরিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে আর কিছু নেই এবং দেশের সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করাই তাঁদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য।
উন্নয়ন বঞ্চনা ও 'রাজাকার' রাজনীতির বিরুদ্ধে তোপ
মাসুদ সাঈদী পিরোজপুরের বেহাল দশা তুলে ধরে বলেন, "আমাদের একশ' বছরের পুরনো পৌরসভা, অথচ রাস্তাঘাটের অবস্থা করুণ। স্কুল-কলেজের ছাদ ধসে শিক্ষার্থীরা মারা যায়। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও এমন চিত্র পৃথিবীর আর কোথাও নেই।"
একই সাথে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, "দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, তারা জামায়াতকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। কিন্তু জামায়াতের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে একটি মহল আবারও 'রাজাকার রাজাকার' খেলা শুরু করেছে।" তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "এই ব্যবসা লসের ব্যবসা। এই ব্যবসা করে আওয়ামী লীগ তার সবকিছু হারিয়েছে। যারা নতুন করে এই ব্যবসা শুরু করছেন, তাদেরও আমছালা সব যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।"
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের পিরোজপুর জেলা শাখার মজলিশে শূরা সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, জেলা সহকারী সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের পিরোজপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আহসানুল হক। অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?






