নোয়াখালীতে গরুর হাটে নিরাপত্তা ও জাল টাকার বিরুদ্ধে র্যাবের কঠোর নজরদারি

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর বিভিন্ন গরুর হাটে নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সাধারণ ক্রেতা ও গরু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং জাল টাকার বিস্তার রোধে মাঠে রয়েছে র্যাব-১১ এর বিশেষ টহল ও নজরদারি দল।
র্যাব-১১ সিপিসি-৩-এর (ভারপ্রাপ্ত) কোম্পানি কমান্ডার মিঠুন কুমার কুণ্ডু জানান, “ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অপরাধী চক্র গরুর হাটগুলোকে টার্গেট করে। তাই হাটের প্রবেশপথ, লেনদেনের স্থান ও আশপাশের এলাকায় র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে নিয়মিত টহল দিচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্সও প্রস্তুত রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, হাটগুলোতে জাল টাকা শনাক্তে বিশেষ বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এসব বুথে রয়েছে অত্যাধুনিক মেশিন ও প্রশিক্ষিত জনবল। জাল নোট শনাক্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে র্যাবকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে সকলকে।
র্যাবের এই উদ্যোগে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
একজন গরু ব্যবসায়ী বলেন, “র্যাবের উপস্থিতি ও জাল টাকা শনাক্তকরণ বুথ থাকায় আমরা অনেকটা নিশ্চিন্ত। আগের মতো প্রতারণার ভয় নেই।”
একজন ক্রেতা জানান, “প্রতিবার গরু কিনতে এসে জাল টাকার ভয়ে থাকতাম। এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে অনেকটাই নিশ্চিন্তে আছি।”
র্যাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের সময়সীমা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই বিশেষ টহল ও নজরদারি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এতে করে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
What's Your Reaction?






