কোরবানির ঈদ ঘিরে জমজমাট পশুর হাট, নিরাপত্তা জোরদারে মাঠে র্যাব-৫

ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজশাহী বিভাগজুড়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বাজারে উঠেছে বিপুলসংখ্যক গরু, ছাগল ও মহিষ। পশু কেনা-বেচায় যেন কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, সে লক্ষ্যে র্যাব-৫ রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ ও পাবনা জেলাজুড়ে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
র্যাব সূত্র জানায়, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই কিংবা জোরপূর্বক টোল আদায় রোধে বড় বড় পশুর হাটগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এসব কন্ট্রোল রুমে রয়েছে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি ও তথ্য সহায়তা কেন্দ্র। পাশাপাশি, কন্ট্রোল রুমের পাশেই রাখা হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়া ক্রেতা-বিক্রেতারা সহজেই সেখানে চিকিৎসা নিতে পারছেন। প্রয়োজনে র্যাবের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থাও রয়েছে।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘আমরা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য সব ব্যবস্থা নিয়েছি। হাটগুলোতে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। অপরাধ দমন ও মাদক প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।’
এ বছর রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলায় মোট ৪৩ লাখ কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় চাহিদা রয়েছে ২৬ লাখ পশুর। ফলে বাকি ১৭ লাখ পশু রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হবে।
রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার বিভাগের আট জেলায় কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০২টি হাট। এর মধ্যে ১৬১টি স্থায়ী ও ১৪১টি অস্থায়ী। পশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে গঠন করা হয়েছে ২১৩টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। এই টিমগুলো হাটে থেকে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রোগ শনাক্তকরণ ও গর্ভবতী গাভী শনাক্তে কাজ করছে।
বিভাগের বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রচণ্ড গরমের মাঝেও ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর পশুর হাটগুলো। প্রশাসন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও র্যাবের সমন্বিত পদক্ষেপে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে পশু কেনাবেচা চলছে।
What's Your Reaction?






