ফরিদপুরে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জেলা ও মহানগর বিএনপির সমাবেশ ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
ফরিদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবস। এ উপলক্ষে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এক শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপনের সভাপতিত্বে আয়োজিত শোভাযাত্রাটি শহরের সিভিল সার্জন সড়ক থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলপুকুর ড্রিমসের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নায়াব ইউসুফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আজম খান, রশিদুল ইসলাম লিটন, তানভীর চৌধুরী রুবেল, এডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এএফএম কাইয়ুম জঙ্গি, সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনান ও আতাউর রশিদ বাচ্চু।
এছাড়াও মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নিতাই রায়, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক আলী রেজওয়ান বিশ্বাস তরুণ, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি চৌধুরী নাজমুল আলম রঞ্জন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেনসহ দলীয় বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মোড় পরিবর্তনকারী অধ্যায়। এই দিনটি ছিল আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির নবযাত্রা। বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতার পর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দেশকে একদলীয় শাসনব্যবস্থার দিকে ঠেলে দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। সেই অন্ধকার সময়ে ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ সিপাহী ও জনতা স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকারে রাজপথে নেমে আসে। তাদের সেই আত্মত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তি পান এবং দেশে গণতন্ত্রের নতুন যুগের সূচনা হয়।
এর আগে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় পতাকা ও ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে যোগ দেন। এ সময় তারা ফরিদপুর-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী নায়াব ইউসুফ ও ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান দেন।
What's Your Reaction?
জেলা প্রতিনিধি, ফরিদপুরঃ