শ্রীনগরে নারী কেলেঙ্কারির সংবাদ প্রকাশে ইউপি সদস্য ক্ষিপ্ত, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

শ্রীনগর উপজেলার ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য স্বপনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির সংবাদ প্রকাশের পর ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। এই ঘটনার পর থেকে স্থানীয় সাংবাদিক মহলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যম, অনলাইন পোর্টাল ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে “শ্রীনগরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতারণা পূর্বক বিয়ে! অতঃপর নগ্ন ছবি তুলে দেহ ব্যবসার জন্য চাপ প্রয়োগ” শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে ইউপি সদস্য স্বপনের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসে।
এই সংবাদের জেরে স্বপন মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে গত রবিবার (১৫ জুন) রাত সোয়া ৮টার দিকে শ্রীনগরের কলেজ গেইট এলাকায় দৈনিক ইনকিলাবের পদ্মাসেতু উত্তর থানার প্রতিনিধি এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম ও মিঠু তালুকদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রাণনাশ ও মিথ্যা মামলায় হয়রানির হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনার পরপরই সাংবাদিক এমএ কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী ১৬ জুন (সোমবার) শ্রীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর: ৬৪৬) দায়ের করেন। জিডি করার পর স্বপনের হুমকি-ধামকি আরও বাড়তে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, স্বপন মেম্বার এরপর তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগে নির্যাতিত নারীর ছবি মাঝখানে রেখে, সাংবাদিক কাইয়ুম মাইজভাণ্ডারী ও নজরুল ইসলামের ছবি দুপাশে বসিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন, যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
এই অপপ্রচারের ঘটনায় জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “একটি মহল সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা হরণ করে তাদের হেয় প্রতিপন্ন করতে চায়। এসব অনৈতিক অপপ্রচার চালানো ফেসবুকভিত্তিক সাংবাদিক নামধারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এদিকে সাংবাদিক নেতারা স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা চর্চায় বাধা দেওয়া এবং সংবাদকর্মীদের হুমকি দিয়ে সত্য চাপা দেওয়ার অপচেষ্টা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এ বিষয়ে যথাযথ তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
What's Your Reaction?






