ধর্ষণ মামলায় আশুলিয়ার কথিত ‘রাইটার’ নাঈম শেখ গ্রেফতার

ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় দীর্ঘদিন ধরে ‘রাইটার’ হিসেবে পরিচিত নাঈম শেখকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করেছে কাফরুল থানা পুলিশ। রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে কাফরুল থানাধীন বউ বাজার এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত নাঈম শেখ (৩৫) ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের আব্দুল মালেক শেখের ছেলে। বর্তমানে তিনি আশুলিয়া থানা ভবন সংলগ্ন সিরাজ দেওয়ানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাঈম শেখ দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়া থানায় জিডি, অভিযোগ ও মামলা ফরোয়ার্ডিং সংক্রান্ত লেখালেখির কাজ করতেন। এ সুবাদে তার পরিচয় হয় নারগিছ আক্তার নামের এক নারীর সঙ্গে। নারগিছ, জামগড়া ফ্যান্টাসি কিংডম সংলগ্ন ‘ক্যাফে ঊশা’ হোটেলের মালিক ফারুকের বোন বলে জানা গেছে।
অভিযোগে বলা হয়, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে নাঈম নারগিছ আক্তারের সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং নানা প্রলোভনে তার কাছ থেকে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে বিয়ের দাবি করলে, প্রকাশ্যে রাস্তায় মারধর করে তাকে রক্তাক্ত করেন নাঈম।
সবশেষ, ১৫ জুন তিনি আবারও ভুক্তভোগীর বাসায় গিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে গেলে পুলিশ তাকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এ ব্যক্তি আরও একাধিক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ের প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি ব্ল্যাকমেইল করেও অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়াও, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনের’ সময় আশুলিয়া থানার একাধিক মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত এবং পুলিশের দুই সদস্যের নগদ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করলেও তা এখনো ফেরত দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারগিছ আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
What's Your Reaction?






