নওগাঁয় স্ত্রীকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন

নওগাঁ শহরের আনন্দনগর এলাকায় মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রীকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছেন এক ব্যক্তি। এতে স্ত্রীর একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের গণপিটুনিতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ঘাতক স্বামী।
বুধবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম সুমন (৩২)। তিনি সদর উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের দুবলহাটি গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন গৃহনির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, প্রায় চার বছর আগে আনন্দনগরের আব্দুস সামাদের মেয়ে মৌয়ূরী খাতুনের সঙ্গে সুমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুমন শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন এবং দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন। এ নিয়ে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদক সেবন করে বাসায় ফিরে স্ত্রী মৌয়ূরীর সঙ্গে তর্কে জড়ান সুমন। একপর্যায়ে তিনি ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে স্ত্রীকে গলা ও হাতে কোপ দেন। এতে মৌয়ূরীর বাঁ হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে সুমনকে আটক করে গণপিটুনি দেন।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে গুরুতর আহত অবস্থায় দম্পতিকে উদ্ধার করে নওগাঁ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। মৌয়ূরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত সুমন রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে মারা যান।
ওসি নূরে আলম আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনার মূল কারণ মাদকাসক্তি ও পারিবারিক কলহ। নিহতের মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। স্বজনদের যোগাযোগের পর আইনানুগ প্রক্রিয়ায় মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।”
এ ঘটনায় এলাকায় চরম চাঞ্চল্য ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
What's Your Reaction?






