যুবককে হত্যার পর নদীতে লাশ ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে এক অটোরিকশা চালককে রাতের আঁধারে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অমন্ত সেন তঞ্চঙ্গ্যা (৩৬) নামের ওই যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি উপজেলার ৩নং আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নাতিন ঝিরি পাড়ার বাসিন্দা মৃত ধল্যা তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নাতিন ঝিরি পাড়া এলাকায় সাবেক ইউপি সদস্য মেদুক মারমার ভাড়া বাড়ির পেছনের রাস্তায় রক্তের দাগ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অমন্ত সেন একজন অটোরিকশা চালক হওয়ায় প্রায়ই তার বাড়ি ফিরতে রাত হতো। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হননি। তবে সকালে তাকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এক পর্যায়ে মেদুক মারমার ভাড়া বাড়ির পেছনের রাস্তায় প্রচুর রক্ত এবং রাস্তার নিচের খালের বালুচরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেন এবং পার্শ্ববর্তী তারাছা খালে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তবে খালের পানি বেশি থাকায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিখোঁজ অমন্ত সেন তঞ্চঙ্গ্যার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ যুবকের মা, মার আইল্যাবি তঞ্চঙ্গ্যা কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, "গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে রোয়াংছড়ি বাজার থেকে ফেরার পথে আমার ছেলেকে কেউ বা কারা ভারী লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে। হত্যার পর তার লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।" তিনি জানান, সকালে ছেলের খোঁজে বেরিয়ে রাস্তার ওপর ব্যাপক রক্ত ও ধস্তাধস্তির চিহ্ন দেখতে পান।
রোয়াংছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ্রমুকুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "সকালে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রাস্তার ওপর প্রচুর রক্ত পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে এখানে হত্যা করা হয়েছে।" তিনি আরও জানান, রাস্তা থেকে খালের ধার পর্যন্ত বালুচরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা বাঁশের টুকরা ও কাঠের গুঁড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজ অমন্ত সেন তঞ্চঙ্গ্যার জীবিত অথবা মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
What's Your Reaction?






