চেয়ারম্যানের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে গোপালপুর: জনসেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন খান সাইফুল ইসলামের

ক্ষমতার অলিন্দে নয়, তাঁর বিচরণ জনতার হৃদয়ে। প্রতিটি ভোর তাঁর জন্য কেবল একটি নতুন দিন নয়, বরং মানুষের জন্য নতুন কিছু করার এক দৃঢ় শপথ। যেখানে জনপ্রতিনিধি মানেই সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে এক অদৃশ্য দেয়াল, সেখানে তিনি এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খান সাইফুল ইসলামের কথা, যিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জনসেবাকেই নিজের জীবনের মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তাঁর নিরলস পরিশ্রমে এবং মানবিক নেতৃত্বে গোপালপুর ইউনিয়ন আজ দেখছে এক নতুন দিনের স্বপ্ন, যেখানে সাধারণ মানুষই সকল উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু।
এরই ধারাবাহিকতায়, শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় সরেজমিনে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায় এক চিরচেনা দৃশ্য। চেয়ারম্যান খান সাইফুল ইসলাম তাঁর কার্যালয়ে বসে একাগ্রচিত্তে শুনছেন সাধারণ মানুষের কথা। কেউ এসেছেন বয়স্ক ভাতার জন্য, কেউবা সামান্য বিরোধের নিষ্পত্তিতে, আবার কেউবা এলাকার উন্নয়নের দাবি নিয়ে। তিনি ধৈর্যের সাথে প্রত্যেকের সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাঁর এই সহজলভ্যতা ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মানসিকতায় গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ।
২০২১ সালের ২১ জুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন খান সাইফুল ইসলাম। সেই থেকে ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ইউনিয়নবাসীর ভাগ্যন্নোয়নে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান খান সাইফুল ইসলাম বলেন, "সাধারণ মানুষ ভালোবেসে আমাকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে। তাদের সেবা করাই আমার প্রধান দায়িত্ব। গোপালপুর ইউনিয়নকে একটি উন্নত ও মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমি কথা দিচ্ছি, জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে আমি সবসময় তাদের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।"
চেয়ারম্যানের এই কর্মযজ্ঞের প্রতিধ্বনি শোনা যায় স্থানীয়দের কণ্ঠেও। এলাকার সম্মানিত বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা খান আসাদুজ্জামান টুনু বলেন, "আমাদের বর্তমান চেয়ারম্যান অত্যন্ত কর্মঠ এবং জনবান্ধব। তিনি নিয়মিত অফিসে আসেন এবং অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আমাদের সমস্যাগুলো শোনেন। যেকোনো প্রয়োজনে তাঁকে ডাকলেই পাওয়া যায় এবং তিনি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন। এমন একজন জনপ্রতিনিধি পেয়ে আমরা সত্যিই গর্বিত।"
খান সাইফুল ইসলামের মতো জনপ্রতিনিধিরাই প্রমাণ করেন যে, ইচ্ছা থাকলে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসাকে পুঁজি করে একটি এলাকাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।
What's Your Reaction?






