সাবেক এমপি আউয়াল ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ভুয়া শিক্ষাগত সনদপত্র ব্যবহার করে কলেজে প্রভাষক পদে চাকরি নেওয়া ও সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল, তার স্ত্রী লায়লা পারভীন এবং এক কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাট গত মঙ্গলবার (৩ জুন) বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান লায়লা পারভীন। তিনি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মহিলা কলেজের দাতা সদস্য, এবং তার স্বামী আউয়াল তখন ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি।
তবে নিয়োগের জন্য জমা দেওয়া এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক পর্যায়ের সব সনদই ভুয়া বলে তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। স্বামীর প্রভাব এবং কলেজের অধ্যক্ষ ঠাকুর চাঁদ মজুমদারের সহযোগিতায় এসব জাল সনদপত্রের ভিত্তিতে লায়লা পারভীন কলেজে চাকরি পান এবং সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, কলেজটি সরকারি এমপিওভুক্ত না হয়েও ২০১৮ সালে নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি করা হয়। সেই সুযোগে লায়লা পারভীন নাজিরপুর সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ৮ আগস্ট ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত সময়কালে মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪০৬ টাকা উত্তোলন করেন, যা এখন সরকারি অর্থ আত্মসাতের অংশ হিসেবে চিহ্নিত।
দুদক কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “সাবেক এমপি আউয়াল কলেজের সভাপতি থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অষ্টম শ্রেণি পাস স্ত্রীকে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেন। বিষয়টি আমি নিজে তদন্ত করেছি এবং পরবর্তীতে মোয়াজ্জেম হোসেন সম্রাটকে দিয়ে মামলা করানো হয়।”
তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও, মামলাটি আরো তদন্তাধীন রয়েছে এবং ভবিষ্যতে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হতে পারে বলে জানান তিনি।
What's Your Reaction?






