স্বতন্ত্র নয়, ইসলামপন্থী প্রার্থী হিসেবেই পরিচিতি বাড়ছে ডঃ ফয়জুল হকের

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর–কাঠালিয়া) আসনে সাবেক বিএনপি নেতা ড. ফয়জুল হকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঘটনাটি এখন রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তিনি স্বতন্ত্রের পতাকা হাতে নির্বাচনী মাঠে নামার ঘোষণা দিলেও, তার পেছনে ইসলামপন্থী বিভিন্ন দলের সুসংগঠিত সমর্থনের বিষয়টি এখন অনেকটাই প্রকাশ্য। ফলে, তিনি নিছক একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নন, বরং ইসলামপন্থী জোটের সম্ভাব্য একক প্রার্থী হিসেবেই নিজের অবস্থানকে সুদৃঢ় করছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ড. ফয়জুল হক যখন স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তখন থেকেই জামায়াতে ইসলামী তাদের নিজেদের প্রার্থীর কার্যক্রম স্থগিত করে তাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস এবং ছারছীনা দরবারের মতো প্রভাবশালী ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও সমর্থন তাকে এই আসনের রাজনীতিতে এক নতুন নিয়ামক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি যখন একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ব্যস্ত, ঠিক সেই সুযোগে ইসলামপন্থী দলগুলোর একাট্টা সমর্থনে ড. ফয়জুল হক নির্বাচনী মাঠে এক শক্তিশালী প্রতিযোগী হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন। যদিও তিনি নিজেকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নির্বিশেষে সকলের প্রার্থী হিসেবে দাবি করছেন এবং নিজেকে 'মজলুম মানুষের প্রতিনিধি' বলছেন, মাঠের বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। তার সমর্থনের মূল ভিত্তি হয়ে উঠছে মূলত ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক শক্তিগুলোই।
প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত কায়েদ সাহেব হুজুরের দৌহিত্র হিসেবে তার পারিবারিক পরিচিতি এবং মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে অর্জিত পিএইচডি ডিগ্রি তরুণ প্রজন্মের মাঝে তাকে বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে। তবে তার স্বতন্ত্র পরিচয়ের আড়ালে ইসলামপন্থী দলগুলোর এই ঐক্যবদ্ধ সমর্থনই এখন ঝালকাঠির রাজনৈতিক মহলে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে, যা আগামী নির্বাচনে এক অননুমেয় ও উত্তেজনাকর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুস্পষ্ট আভাস দিচ্ছে।
What's Your Reaction?






