সালিশে গিয়ে গণরোষের শিকার যুবদল নেতা, বহিষ্কারের দাবিতে উত্তাল বিএনপি

বিচারের সালিশে গিয়ে নিজেই জনতার বিচারের মুখে পড়লেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার যুবদল নেতা শাহিন। ভূমি দখল, জালিয়াতি আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ক্ষুব্ধ জনতা তাকে এক সালিশ বৈঠকেই প্রহার করে। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি তলানিতে ঠেকায় এখন তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় বিএনপি।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি ভূমি সংক্রান্ত সালিশ বৈঠকে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাহিন স্থানীয় জনগণের হাতে প্রহৃত হওয়ার পর এভাবেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি। এ ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় বানা ইউনিয়ন বিএনপি শাহিনকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের জোর দাবি জানিয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে আলফাডাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খোশবুর রহমান খোকনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বানা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রতন হাদী তার স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার আলফাডাঙ্গা থানা গোলঘরে একটি জমি সংক্রান্ত বিরোধের সালিশ বৈঠক চলাকালে ভূমিদস্যু শাহিন জনতার রোষানলে পড়েন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয় যে, শাহিন গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জিল্লুর রহমানের পক্ষে কাজ করেছিলেন। সে সময় তিনি সোনা চুরির অভিযোগে দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে পলাতক ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও অভিযোগ করা হয় যে, আওয়ামী লীগের আমলে জিল্লুর রহমান বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন করেছেন এবং পুলিশ দিয়ে তাদের হয়রানি করেছেন। ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখের পর সুযোগসন্ধানী শাহিন জিল্লুর রহমানের সঙ্গ ত্যাগ করে নিজে জমি দখল, সালিশ-বাণিজ্য, জমি জালিয়াতি, স্ট্যাম্প জালিয়াতির মাধ্যমে খাদ্যবান্ধব ডিলারশিপ পাওয়ার চেষ্টা এবং এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন।
What's Your Reaction?






