রোয়াংছড়িতে এক যুবককে খুন, দুই আসামি আটক

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় এক যুবককে খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত যুবকের নাম উথোয়াইশৈ মারমা (১৮), তিনি ৪নং নোয়াপতং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খক্ষ্যং পাড়ার বাসিন্দা শৈচনু মারমার ছেলে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন ৩নং আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের শীলবান্ধা পাড়ার বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য সিংনুমং মারমার ছেলে উনুসিং মারমা (২৬) এবং লোওয়াইসামং মারমার ছেলে হ্লাথোয়াইহ্রী মারমা (২৮)। জানা যায়, শনিবার ২৬ জুলাই গভীর রাতে শীলবান্ধা পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর অভিযুক্তরা পাড়াবাসীদের কিছু না জানিয়ে পালিয়ে যায়। পরে দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হলে ইউপি সদস্য অংসিংনু মারমা নিহতের বাবা শৈচনু মারমাকে অবহিত করেন। তিনি ছেলের খোঁজে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং জানতে পারেন, ছেলেকে রাতে খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি রোয়াংছড়ি থানায় অভিযোগ করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার ২৭ জুলাই সকালে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মান্না দে'র নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। দুপুর দেড়টার দিকে তারাছা খালের বেক্ষ্যং পাড়া এলাকা থেকে উথোয়াইশৈ মারমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ সময় ঘটনাস্থলে রোয়াংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাকের আহমেদ, ৩নং আলেক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা, ইউপি সদস্য অংসিংনু মারমাসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি পাথর ও বাঁশের কঞ্চিও উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মান্না দে নিশ্চিত করেছেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
What's Your Reaction?






