ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি ও অটোরিকশার অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

মোঃ শামীম মিয়া, উপজেলা প্রতিনিধি, বিজয়নগর
Jul 27, 2025 - 21:39
Jul 27, 2025 - 21:53
 0  3
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি ও অটোরিকশার অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, আখাউড়া ও জেলার অন্যান্য এলাকায় সিএনজি ও অটোরিকশা মালিক-চালক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

২৭ জুলাই (রোববার) সকাল ৮টা থেকে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এই ধর্মঘট শুরু হয়। ফলে কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী, রোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।

সকাল থেকে শহর থেকে গ্রাম কিংবা গ্রাম থেকে শহরে যাতায়াতের কোনো যানবাহন না থাকায় মানুষকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। কেউ কেউ বলেন, “আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে পায়ে হেঁটে বিজয়নগরে এসেছি।” কেউ কেউ আবার জানান, “সিংগারবিল থেকে পায়ে হেঁটে আখাউড়ায় কাজের খোঁজে গেছি।”

জরুরি প্রয়োজনে থাকা রোগীরাও পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। বিশেষ করে সিজারের রোগী কিংবা জটিল চিকিৎসা প্রয়োজন এমন অনেকেই সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেননি।

অভিভাবকরা জানিয়েছেন, ধর্মঘটের কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না, শিক্ষক-কর্মচারীরাও সময়মতো পৌঁছাতে পারছেন না। কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী—সব শ্রেণির মানুষই যানবাহনের অভাবে বিপাকে পড়েছেন।

অন্যদিকে, সিএনজি ও অটোরিকশা চালকদের অভিযোগ—তারা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এক চালক বলেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করলেই ট্রাফিক পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। রোগী থাকলেও ৭–৮ হাজার টাকা ঘুষ না দিলে গাড়ি আটকে রাখে। না দিলে ড্রাইভারদের হয়রানি করে।”

আরেকজন চালক বলেন, “কাউতলী এলাকায় গেলে গাড়ির চাবি কেড়ে নেয়া হয়। বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। আমরা নিরাপদে চলাচল করতে পারি না।”

মালিক-চালক সমিতির পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে, এই হয়রানি বন্ধ করতে হবে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “যৌক্তিক দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

ধর্মঘটের কারণে জেলার গণপরিবহন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সাধারণ জনগণ দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow