মুন্সীগঞ্জে গণপিটুনিতে নিহত এক ব্যক্তি, সঙ্গে উদ্ধার শটগান ও গুলি

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্য মাকহাটি তালগাছতলা এলাকায় রাস্তার উপর পড়ে থাকা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির শরীরের সঙ্গে ছিল একটি একনলা শটগান ও দুটি কার্তুজ। পুলিশ ধারণা করছে, তাকে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের নাম সানা মাঝি (৪২)। তিনি মধ্য মাকহাটি গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মাঝির ছেলে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার (২ মে) সকাল ১০টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সদর থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “অস্ত্রসহ একজন ডাকাত আটক” এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা দেখে, একজন ব্যক্তির রক্তাক্ত মরদেহ তালগাছতলা রাস্তার উপর পড়ে আছে এবং তার শরীরের সঙ্গে রয়েছে একটি একনলা শটগান ও দুটি কার্তুজ। স্থানীয়রা জানান, মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করে তাকে গণপিটুনির মাধ্যমে হত্যা করা হয়।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে ডাকাতির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। নিহত সানা মাঝির পরিবার আওয়ামী লীগপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তার ভাই হাবু মাঝি থানায় অভিযোগ করেছেন যে পূর্ব শত্রুতার জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।”
তিনি আরও জানান, সানা মাঝি ও তার পরিবারের সঙ্গে একই এলাকার বাবু মাঝির পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। বাবু মাঝির ভাই শিপন মাঝি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন সানা মাঝির আট ভাই, তবে পরবর্তীতে তাঁরা সবাই মামলা থেকে খালাস পান।
নিহতের পরিবার জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে নিরাপত্তার কারণে সানা মাঝি তার পরিবার নিয়ে বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের ড্যাগ্রাপাড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে পরিচিত এক ব্যক্তি স্বাধীন তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, পূর্বের বিরোধ এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
What's Your Reaction?






