বান্দরবানের থানচিতে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন

শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া, আলোচনা সভা এবং সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে বান্দরবানের থানচিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। এই দিনটিকে 'নতুন বাংলাদেশের চেতনা' হিসেবে আখ্যায়িত করে বক্তারা সকল ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় শহীদদের স্মরণে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দিনের প্রধান আকর্ষণ ছিল উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ-আল-ফয়সালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, "জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ছিল অনিবার্য। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই এই অভ্যুত্থানের প্রেরণা যুগিয়েছে।" তারা আরও বলেন, "ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক প্রতিরোধের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছিল। এই দিনটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ৫ আগস্ট শুধু একটি দিন নয়, এটি নিপীড়নের বিরুদ্ধে মানুষের ঐক্য ও সংগ্রামের প্রতীক, যা আগামীতেও সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।"
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শরীফুল ইসলাম, থানচি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ধমিনিক ত্রিপুরা, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মজুমদার, নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচি মারমা অনুপমসহ আরও অনেকে।
সভার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা একটি উন্নত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার শপথ গ্রহণ করেন, যেখানে জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
What's Your Reaction?






