বান্দরবানের থানচিতে নানা আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনসমূহ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় থানচি উপজেলা সদরে র্যালি, সমাবেশ, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন বান্দরবান জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য ও জেলা পরিষদের সদস্য খামলাই ম্রো এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মংশৈম্রাই মারমা।
র্যালি শেষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মংশৈম্রাই মারমা বলেন, “৭ নভেম্বর শুধু একটি দিন নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে আধিপত্যবাদী চক্রের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছিলেন মহান নেতা ও সংগঠক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খামলাই ম্রো বলেন, “৩ থেকে ৬ নভেম্বরের মধ্যবর্তী সময়ে দেশজুড়ে বিরাজ করছিল এক শ্বাসরুদ্ধকর অনিশ্চিত অবস্থা। সেদিন সিপাহী-জনতা ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেন।”
তিনি আরও বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান-৩০০ আসনে বিএনপির চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থী রাজপুত্র সাচিংপ্রু জেরীকে বিজয়ী করতে সকল নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অদ্রীয় ত্রিপুরা বলেন, “জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক ও অনুপ্রেরণাদায়ক দিন। এই দিনের চেতনা আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দিকনির্দেশনা দেয়।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ক্যসাউ মারমা, সহসভাপতি মংএনু মারমা, কৃষক দলের আহ্বায়ক মংসাগ্য মারমা, যুবদলের সভাপতি মংসিংহাই মারমা, সাধারণ সম্পাদক আনিচাঁন্দ ত্রিপুরা, বিএনপির সদর ইউনিয়নের সভাপতি আবুল নোমান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জওয়াইপ্রু মারমা প্রমুখ।
দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। শান্তিপূর্ণভাবে দিবসটি পালনের মাধ্যমে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ নেন।
What's Your Reaction?
অনুপম মারমা, থানচি প্রতিনিধি, বান্দরবানঃ