পিরোজপুরে মন্দির ভাঙচুর, আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
পিরোজপুরের নাজিরপুরে আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে জমি দখলের চেষ্টাকালে একটি মন্দির ও ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষক ঠাকুর চাঁদ বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফুজ্জামান শিকদার মনিসহ আটজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার ৮ নম্বর শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের শ্রীরামকাঠী-বলিবাবলা রাস্তার পূর্ব পাশে স্কুল শিক্ষক ঠাকুর চাঁদের ভোগদখলীয় জমি নিয়ে শরিফুজ্জামান মনির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় উদয়তারা গ্রামের আজিজুল শেখ ও সদর উপজেলার শিকদারমল্লিক গ্রামের জালিজ শেখসহ ৭-৮ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে জমিতে থাকা ঘর ও একটি মন্দির ভাঙচুর করেন। এ সময় তারা পাশের খালের ওপারে থাকা আরেকটি সার্বজনীন মন্দিরও ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, রতন হালদারের কাছ থেকে শিক্ষক ঠাকুর চাঁদ ওই জমি কিনেছিলেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা মনি শিকদারও জমিটি কেনার দাবি করে সেখানে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন। পরে জমি দখলের উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষের লোকজন সেখানে থাকা ঘর ও মন্দির ভাঙচুর করেন।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া জানান, জমির দখল সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা মো. শরিফুজ্জামান মনি দাবি করেন, তিনি ওই জমি ক্রয় করেছেন। তবে সেখানে থাকা ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও মন্দির ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্যা।
উল্লেখ্য, শরিফুজ্জামান মনি শিকদারের বিরুদ্ধে এর আগেও ধর্ষণ, হত্যা, লুটপাটসহ অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
What's Your Reaction?
আল-আমিন হোসাইন, নাজিরপুর প্রতিনিধি, পিরোজপুরঃ