নাজিরপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী পালন

পিরোজপুরের নাজিরপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সোমবার (২ জুন) সকাল ১১টায় একটি শোক র্যালি উপজেলা সদর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নাজিরপুর সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম ফরাজী এবং সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তাওহীদুল ইসলাম ফরাজী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু এবং নাজিরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হাসান খান।
আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইয়াহিয়া খান, আসাদুজ্জামান হাজরা টিপু, মো. সফিকুল ইসলাম শাফিক, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও শাখারীকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক এস.এম. রেজাউল কবীর, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান খান রিপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার সিকদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক এস.এম. সিপার।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ লিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান ফরাজী, সাবেক আহ্বায়ক এস.এম. মাজেদুল কবীর রাসেল, সাবেক সদস্য সচিব মো. হাফিজুর রহমান লায়েক, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. মিজানুর রহমান শরীফ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক এইচ.এম. শামীম হাসান, সদস্য সচিব তারেক আবদুল্লাহ বাপ্পি, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মেহেদী হাসান, শ্রমিক দলের সভাপতি হিরুয়ার রহমান, ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং শহীদ জিয়া কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ইমাম খান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথিকৃৎ। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাঁর সাহসী নেতৃত্ব এবং খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব ও অর্থনৈতিক সংস্কারমুখী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে নেয়। নারী উন্নয়ন ও শিশু বিকাশে তাঁর আগ্রহ ছিল যুগান্তকারী।
তাঁরা আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা এ দেশের ইতিহাসকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়েছিল। তিনি ছিলেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের রূপকার, যার দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগ আজও জাতিকে অনুপ্রেরণা দেয়।
আলোচনা শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফেরাত এবং বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর উপস্থিতদের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।
What's Your Reaction?






