আলফাডাঙ্গায় এসআই’র বাড়িতে স্বর্ণালঙ্কার লুট

কবির হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর ) প্রতিনিধিঃ
Jun 1, 2025 - 23:21
 0  34
আলফাডাঙ্গায় এসআই’র বাড়িতে স্বর্ণালঙ্কার লুট

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পুলিশ সদস্য মুরাদ হোসেনের গ্রামের বাড়িতে মুখোশধারীদের হাতে স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে ঘটনাটি ‘ডাকাতি’ না ‘চুরি’—এই বিষয়টি ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ভুক্তভোগী পরিবার যেখানে এটিকে সশস্ত্র ডাকাতি বলছে, পুলিশ সেখানে এটিকে ‘চুরি’ হিসেবে দেখছে।

শনিবার (৩১ মে) গভীর রাতে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গোপালগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই মুরাদ হোসেনের বাড়িতে জানালার গ্রিল কেটে দুজন মুখোশধারী ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এসময় তার পুত্রবধূর কানে থাকা পাঁচ আনা ওজনের স্বর্ণের দুল (বাজারমূল্য প্রায় ৫৫ হাজার টাকা) লুট করে নেয়। পরিবারের দাবি, ঘরের বাইরে আরও অন্তত ১০-১২ জন পাহারায় ছিল।

রবিবার (১ জুন) দুপুরে মুরাদের মা মমতাজ বেগম আলফাডাঙ্গা থানায় গিয়ে ‘ডাকাতি’ উল্লেখ করে মামলা দায়ের করতে চাইলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। থানার কর্মকর্তারা এটিকে ‘চুরি’ বলেই মামলা নিতে রাজি হন।

ভুক্তভোগী এসআই মুরাদ হোসেন বলেন, ‘ডাকাতদল মুখোশ পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। অথচ পুলিশ বলছে, এটা চুরি! আমি ন্যায়বিচার চাই—ডাকাতির বিচার চাই, চুরির নয়।’

তবে আলফাডাঙ্গা থানার এসআই সুজন বিশ্বাস বলেন, ‘ঘটনার পরপরই থানা পুলিশের একটি টহল দল现场 পরিদর্শন করে। ঘটনাটি আমাদের কাছে ডাকাতি মনে হয়নি। চুরি হয়ে থাকতে পারে।'

তিনি আরও বলেন, ‘কমপক্ষে পাঁচজনের বেশি হলে সেটা ডাকাতি হয়। কিন্তু এখানে ঘরে ঢুকেছে মাত্র দুজন। কোনো ধ্বংসযজ্ঞ হয়নি। তেমন কোনো ভারী অস্ত্রেরও প্রমাণ নেই। তাই এটি ডাকাতি নয় বলে আমরা মনে করছি।’

এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা করা হলেও ‘ডাকাতি’ শব্দ উল্লেখ করায় তা গ্রহণ করেনি পুলিশ।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত অপরাধের বিচার দাবি করেছে স্থানীয়রা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow