আলফাডাঙ্গায় ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ঢাকাস্থ বানা একাদশ চ্যাম্পিয়ন

কবির হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর ) প্রতিনিধিঃ
Jun 11, 2025 - 01:50
 0  47
আলফাডাঙ্গায় ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ঢাকাস্থ বানা একাদশ চ্যাম্পিয়ন

“ক্রীড়াই শক্তি, ক্রীড়াই বল, খেলার রাজা ফুটবল”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে এক বিশেষ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে উপজেলার বানা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বানা এম.এ মজিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘আমরা বানার সন্তান (আবাস)’ এর উদ্যোগে এ ম্যাচের আয়োজন করা হয়।

ম্যাচে মুখোমুখি হয় ঢাকাস্থ বানা ফুটবল একাদশ ও স্থানীয় বানা ফুটবল একাদশ। জমজমাট লড়াইয়ে ঢাকাস্থ বানা ফুটবল একাদশ ২-১ গোলে স্থানীয় একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলার রেফারির দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন খ্যাতিমান ফুটবলার মো. আকরাম হোসেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী শেখ মোহাম্মদ মাসউদ। বক্তব্যে তিনি বলেন, “খেলাধুলা শুধু শরীরচর্চা বা বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি শক্তিশালী শিক্ষা ব্যবস্থা যা শৃঙ্খলা, সহনশীলতা ও নেতৃত্বগুণ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” তিনি আরও বলেন, “তরুণ সমাজকে নৈতিক পথে পরিচালিত করতে খেলাধুলা অত্যন্ত কার্যকর। ভবিষ্যতের নেতৃত্ব তাদের হাতেই—তাই তাদের গড়তে হবে দেশ ও জাতির উপযোগী করে।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মো. নজরুল ইসলাম সেলিম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মো. হাসান শেখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বোয়ালমারী আল হাসান দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা এমএ কুদ্দুস, আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আলমগীর কবির, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুলফিকার হোসেন, সাবেক যুবদল নেতা মো. লিয়াকত বিশ্বাস, বানা ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি মো. খোকন শেখ, ডা. দেলোয়ার হোসেন ও সেলিম হোসেন প্রমুখ।

আয়োজক কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম সেলিম বলেন, “ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে তুলতেই প্রীতি ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছে। তরুণদের খেলাধুলার মাধ্যমে মাদক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে এবং যুব সমাজকে ইতিবাচক পথে রাখতে খেলাধুলা হতে পারে একটি কার্যকর মাধ্যম।”

খেলার ধারাভাষ্যে ছিলেন মো. লিয়াকত বিশ্বাস ও শেখ নজরুল ইসলাম সেলিম। উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজিত এ খেলায় স্থানীয় তরুণদের বিপুল অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঠজুড়ে ছিল উচ্ছ্বাস, আনন্দ আর চিৎকার-হর্ষধ্বনিতে মুখরিত পরিবেশ।

খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়কেও সম্মাননা প্রদান করা হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow